কাই: লিভ শ্রাইবারের চোখে ‘যোদ্ধা’, সাহসী মেয়ের কথা!

বিখ্যাত অভিনেতা লিভ শ্রাইবার সম্প্রতি তাঁর রূপান্তরকামী কন্যা কাইয়ের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সমাজের চোখে প্রান্তিক এই সম্প্রদায়ের অধিকার ও স্বীকৃতির পক্ষে নিজের দৃঢ় অবস্থান জানিয়েছেন তিনি।

লিভ শ্রাইবার ৫৬ বছর বয়সী একজন জনপ্রিয় অভিনেতা। তিনি তাঁর ১৬ বছর বয়সী কন্যা কাইয়ের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, কাই সবসময়ই নিজের পরিচয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। মেয়ের এই পরিচয়কে তিনি সবসময় সম্মান করেন এবং সমর্থন করেন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রাইবার বলেন, “কাই একজন যোদ্ধা।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি, কারো রূপান্তরকামী কিশোর বা তরুণ সন্তানের প্রতি যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আমি বলব, কিশোর বয়সটা এমনিতেই কঠিন। তারা সবসময় নানা বিষয় নিয়ে অস্থির থাকে। কাই তেমনই একজন, সে খুবই জেদী এবং স্পষ্টবাদী।

কাইয়ের মা নাওমি ওয়াটস এবং বাবা লিভ শ্রাইবার দুজনেই তাদের মেয়ের এই পরিচয়কে সবসময় সমর্থন জুগিয়েছেন। কাইয়ের মা-বাবা দুজনেই তাদের মেয়ের প্রতিটি ভালো কাজে সবসময় উৎসাহ দিয়েছেন।

কাই একজন মডেল হিসেবেও পরিচিতি লাভ করেছেন। ফ্যাশন হাউস ভ্যালেন্টিনোর হয়ে মডেলিং করার মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন জগতে প্রবেশ করেন। এই সময়ে, শ্রাইবার তাঁর মেয়ের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, “যদি আপনি একজন পেশাদার অভিনেতা হন এবং আপনার সন্তান যদি এই জগতে কিছু করতে চায়, তাহলে তার সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকা উচিত।”

এই প্রসঙ্গে লিভ শ্রাইবার রূপান্তরকামী সম্প্রদায়ের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেন, “এই বিষয়টি শুধু রূপান্তরকামী সম্প্রদায়কে উপস্থাপন করার বিষয় নয়। বরং এটি এমন একটি সম্প্রদায়ের গল্প, যাদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই, সাহায্য পাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেই এবং পরিবার থেকেও তারা সবসময় সমর্থন পায় না। তারা প্রতিনিয়ত কঠিন পরিস্থিতির শিকার হয়। তাদের মধ্যে অনেকে এই প্রতিকূলতা মোকাবেলা করতে পারে না।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘আলি ফরনি সেন্টার’ নামের একটি সংস্থা রয়েছে, যারা এই ধরনের সুবিধাবঞ্চিত তরুণ-তরুণীদের আশ্রয় এবং মানসিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এই কেন্দ্রটি বর্তমানে তাদের ড্রপ-ইন সেন্টারের মাধ্যমে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে সহায়তা করে।

রূপান্তরকামিতা একটি সংবেদনশীল বিষয় এবং বিভিন্ন দেশে এর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন হতে পারে। আমাদের সমাজে এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *