লিলো ও স্টিচ: স্মৃতি দিবসে বক্স অফিসে ঝড়!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোর মধ্যে বক্স অফিসে দারুণ সাফল্যের খবর পাওয়া গেছে। এই ছুটির দিনে সিনেমা হলগুলোতে ছিল উপচে পড়া ভিড়, আর তার ফলস্বরূপ এসেছে বিশাল অঙ্কের আয়।

এই বছর মেমোরিয়াল ডে উইকেন্ডে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা করা সিনেমাগুলোর মধ্যে ছিল ডিজনি’র লাইভ-অ্যাকশন ছবি ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ এবং টম ক্রুজ অভিনীত ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’।

স্টুডিওর হিসাব অনুযায়ী, ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ সিনেমাটি শুধু উত্তর আমেরিকার প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে প্রথম সপ্তাহেই আয় করেছে ১৪ কোটি ৫৫ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার সমান।

এই ছবিটি ২০০২ সালের জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর লাইভ-অ্যাকশন সংস্করণ, যেখানে একটি হাওয়াইয়ান বালিকা এবং একটি অদ্ভুতদর্শন এলিয়েনের বন্ধুত্বের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দর্শক এবং সমালোচকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে।

অন্যদিকে, ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের নতুন ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – দ্য ফাইনাল রেকনিং’ও বক্স অফিসে বেশ ভালো ব্যবসা করেছে।

সিনেমাটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন টম ক্রুজ, যিনি এই সিরিজে ইথান হান্ট চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন।

এই ছবিটি ছিল ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের অষ্টম ছবি, যা সম্ভবত এই সিরিজের শেষ কিস্তি হতে যাচ্ছে।

রবিবার পর্যন্ত সিনেমাটি শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই ৬ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে, যা আগের ছবি ‘মিশন: ইম্পসিবল – ফলআউট’-এর প্রথম সপ্তাহের আয়ের থেকে বেশি।

‘মিশন: ইম্পসিবল – ফলআউট’ ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে ৬ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছিল।

পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি’র পরিচালনায় তৈরি এই স্পাই থ্রিলারটি বিশ্বজুড়ে ১২ কোটি ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করে শীর্ষস্থান দখল করেছে, যেখানে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’-এর আয় ছিল ১১ কোটি ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার।

এর আগে, ২০২৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ মুক্তির প্রথম পাঁচ দিনে প্রায় ৮ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে, যা ছিল এই সিরিজের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

তবে তিন দিনের হিসেবে ছবিটি ৫ কোটি ৬২ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছিল।

এই সাফল্যের মাধ্যমে হলিউড আবারও প্রমাণ করেছে যে, ভালো মানের সিনেমা তৈরি হলে দর্শক সবসময় তা গ্রহণ করে।

সিনেমাগুলোর এই বিপুল আয় বিশ্ব চলচ্চিত্রের বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *