লস এঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানলের স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই দাবানলের কারণে লিন্ডসে লোহান অভিনীত জনপ্রিয় সিনেমা ‘ফ্রাইকি ফ্রাইডে’-র সিক্যুয়েল তৈরি যেন এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে এসেছে।
সিনেমাটি লস এঞ্জেলেসের সেই সব অঞ্চলের প্রতি উৎসর্গীকৃত, যা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সম্প্রতি, অভিনেত্রী ক্লোয়ি ফাইনম্যানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লোহান এই সিক্যুয়েল সম্পর্কে তার অনুভূতির কথা জানান।
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ফ্রাইকি ফ্রাইডে’-র পুনর্নির্মিত সংস্করণে লোহান এবং জেমি লি কার্টিস একসঙ্গে কাজ করেছেন।
লোহান জানান, সিনেমাটির শুটিং হয়েছে লস এঞ্জেলেসের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষ করে প্যালি সেডস এবং মালিবু অঞ্চলে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মূল সিনেমার শুটিং-এর জন্য ব্যবহৃত বাড়িটি, যা অ্যানা কোলম্যানের বাসস্থান হিসেবে দেখানো হয়েছিল, সেটিও দুর্ভাগ্যবশত দাবানলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
লোহানের মতে, সিনেমাটি যেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতি ভালোবাসার একটি বহিঃপ্রকাশ।
জানুয়ারী মাসে ক্যালিফোর্নিয়ার এই দাবানল এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল।
ক্যাল ফায়ারের তথ্য অনুযায়ী, এই আগুনে প্রায় ২৩,৪৪৮ একর জমি পুড়ে গিয়েছিল।
এখনো পর্যন্ত এর কারণ অনুসন্ধানে রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
লস এঞ্জেলেসে পুনরায় কাজ করতে পেরে লোহান বেশ আনন্দিত।
তিনি জানান, সেখানকার ক্রু সদস্যরাও তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারার সুযোগ পেয়ে খুশি।
অভিনেত্রী আরও বলেন, তিনি প্রতিদিন শুটিং শেষে বাড়ি ফিরে তার ছেলেকে ঘুম পাড়াতে পারতেন, যা তাকে মানসিক শান্তি দিয়েছে।
আসন্ন এই সিনেমাটি, ‘ফ্রাইকিয়ার ফ্রাইডে’, আগামী আগস্ট মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালের একই নামের একটি সিনেমার রিমেক ছিল ২০০৩ সালের ‘ফ্রাইকি ফ্রাইডে’, যেখানে জোডি ফস্টার অভিনয় করেছিলেন।
এই সিক্যুয়েলে পুরনোদের মধ্যে মার্ক হারমোন, চ্যাড মাইকেল মারে, ক্রিস্টিনা বিদাল মিচেল, হ্যালি হাডসন, লুসিল সোং, স্টিফেন টোবোলস্কি এবং রোজালিন্ড চাও-এর মতো অভিনেতাদের দেখা যাবে।
এছাড়াও, নতুন মুখ হিসেবে জুলিয়া বাটারস, ম্যানি জ্যাসিন্টো, মৈত্রেয়ী রামাকৃষ্ণন এবং সোফিয়া হ্যামন্স-এর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যুক্ত হয়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল