কফিনে রাখা হুইস্কি! ভয়ঙ্কর খবরে শোরগোল

তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় পানীয় জল প্রস্তুতকারক ‘লিকুইড ডেথ’ এবার হুইস্কি প্রস্তুতকারক ‘হুইসলপিগ’-এর সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। তারা ‘হুইসলপিগ গ্রেভস্টক হুইট হুইস্কি’ নামের একটি নতুন হুইস্কি তৈরি করতে যাচ্ছে, যা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়াটি বেশ আকর্ষণীয়।

খবর অনুযায়ী, এই হুইস্কি তৈরির একটি বিশেষত্ব হলো—এটি তৈরি করতে লিকুইড ডেথের পার্বত্য অঞ্চলের জল ব্যবহার করা হয়েছে এবং হুইস্কিটির একটি অংশ কফিনে (শব রাখার কাঠের বাক্স) সংরক্ষণ করা হবে।

সাধারণত, হুইস্কি তৈরির প্রক্রিয়াতে কাঠের ব্যারেল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখানে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কফিনের মধ্যে রেখে হুইস্কিটিকে বিশেষ স্বাদ দেওয়া হবে।

প্রস্তুতকারকদের দাবি, এই প্রক্রিয়ার ফলে হুইস্কিটিতে এক ভিন্ন ধরনের স্বাদ আসবে, যেখানে হালকা মধু, বিস্কুট এবং বাটারস্কচের একটি মিশ্রণ পাওয়া যাবে। হুইস্কিটির অ্যালকোহলের মাত্রা হবে ৮৬ প্রুফ।

জানা গেছে, বাজারে বিদ্যমান বিভিন্ন পানীয়ের বিকল্প হিসেবে এই হুইস্কি তৈরি করা হয়েছে। প্রস্তুতকারক সংস্থা আশা করছে, যারা সাধারণ স্প্রিটজ, ক্যানড ককটেল বা বিয়ার থেকে ভিন্ন কিছু পান করতে চান, তাদের কাছে এটি জনপ্রিয় হবে।

হুইস্কিটির একটি বোতলের দাম ধরা হয়েছে ৭৪.৯৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় আট হাজার টাকার সমান। আগামী ২৪শে জুন থেকে অনলাইন এবং নির্বাচিত কিছু দোকানে এই হুইস্কি পাওয়া যাবে।

হুইস্কি প্রস্তুতকারক ‘হুইসলপিগ’-এর জন্য এই সময়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাজারে তাদের ব্যবসার উন্নতি কিছুটা কমেছে।

তাই, নতুন এই যৌথ উদ্যোগে তারা তাদের ব্যবসার প্রসারের দিকে তাকিয়ে আছে। কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা চার্লস গিব জানিয়েছেন, বাজারে টিকে থাকতে হলে গ্রাহকদের রুচি ও চাহিদার দিকে নজর রাখতে হবে।

লিকুইড ডেথ এবং হুইসলপিগ—উভয় কোম্পানিই তাদের ভিন্নধর্মী বিপণন কৌশলের জন্য পরিচিত। অতীতেও তারা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন পণ্য এনেছে।

এই ক্ষেত্রেও তারা তাদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে চাইছে।

তবে, এই হুইস্কিটি বাংলাদেশে সরাসরি পাওয়া যাবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মূলত যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বাজারে এটি পাওয়া যাবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *