বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী লিসা রিন্না সম্প্রতি তার সন্তান জন্ম দেওয়ার পরবর্তী সময়ে হওয়া মানসিক অবসাদ বা পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন নিয়ে মুখ খুলেছেন। এই সময়কালে তিনি ভয়ঙ্কর কিছু চিন্তা করতেন, এমনকি তার স্বামীকে মেরে ফেলার কথাও ভেবেছিলেন।
তার স্বামী হ্যারি হ্যামলিনের দ্রুত পদক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং লিসা চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
একটি পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিন্না জানান, অ্যামেলিয়া নামের মেয়ের জন্মের পর তিনি গভীর মানসিক অবসাদে ভুগেছিলেন। তিনি বলেন, “আমার ভয়ঙ্কর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন হয়েছিল, কিন্তু আমি সেটা বুঝতে পারিনি।
প্রথমবার মা হওয়ার পর অনেকেই হয়তো এটা বুঝতে পারেন না।” রিন্না আরও জানান, এই সময়ে তার স্বামীর উপর রাগ হত এবং তাকে মেরে ফেলার মতো ভয়ঙ্কর চিন্তা আসত।
এমনকি তিনি গাড়ি নিয়ে দেয়ালে ধাক্কা মারারও চিন্তা করতেন।
স্বামী হ্যারি হ্যামলিন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে দ্রুত পদক্ষেপ নেন। তিনি রিন্নাকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
হ্যামলিন জানান, রিন্নার অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তিনি ছুরিগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেছিলেন, কারণ তার মনে হচ্ছিল তিনি হয়তো কাউকে খুন করে ফেলবেন।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, রিন্নাকে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ দেওয়া হয় এবং কয়েক সপ্তাহ পর তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
রিন্না আরও উল্লেখ করেন, তার প্রথম মেয়ে দেলিলার জন্মের পর এমনটা হয়নি। তিনি জানান, সেই সময় তিনি সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন এবং নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা সন্তান জন্ম-পরবর্তী মানসিক অবসাদ একটি গুরুতর সমস্যা। এটি শুধু মায়েরাই নয়, সারোগেট মা এবং দত্তক গ্রহণকারী অভিভাবকদেরও হতে পারে।
ক্লিনিক্যাল ভাষায়, এটি সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে হওয়া এক ধরনের বিষণ্ণতা। যদি কোনো মা এই ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মনে রাখতে হবে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
তথ্য সূত্র: পিপল