লিসবনের ফিউনিকুলার দুর্ঘটনায় তার ছিঁড়ে যাওয়ায় নিহত!

লিসবনের ভয়াবহ ফিউনিকুলার দুর্ঘটনায় নিহত ১৬, তদন্তে কেবল ছিঁড়ে যাওয়ার প্রমাণ।

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ভয়াবহ এক ফিউনিকুলার দুর্ঘটনায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি) ক্যালকাডা দা গ্লোরিয়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, দুটি বগির সংযোগকারী একটি তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার পর পরই হতাহতদের উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা ছুটে যান। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে পর্তুগালের নাগরিক ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্সের নাগরিক রয়েছেন।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা ‘অফিস ফর দ্য প্রিভেনশন অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন অফ অ্যাক্সিডেন্টস ইন সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড রেল’ (GPIAAF) জানিয়েছে, দুর্ঘটনার আগে ফিউনিকুলারটির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছিল।

সেই সময় কেবল বা ব্রেকিং সিস্টেমে কোনো ত্রুটি ধরা পড়েনি। তবে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যে তারটি ছিঁড়ে গিয়েছিল, সেটি নতুন লাগানো হয়েছিল এবং সেটির মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি।

এই তারটি দুর্ঘটনার ৩৩৭ দিন আগে স্থাপন করা হয়েছিল এবং এর আয়ুষ্কাল ছিল ৬০০ দিন।

ফলাফল অনুযায়ী, তার ছিঁড়ে যাওয়ার কারণে পাহাড়ের উপরের বগিটি দ্রুত গতিতে নিচে নামতে শুরু করে এবং লাইনচ্যুত হয়।

প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, সংঘর্ষের সময় বগিটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার।

তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন, বগিটির ব্রেকিং ব্যবস্থা তাৎক্ষণিকভাবে কাজে আসেনি, ফলে এটির গতি কমানো যায়নি।

এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জি.পি.আই.এ.এ.এফ. একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাথমিক প্রতিবেদন ৪৫ দিনের মধ্যে এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন এক বছরের মধ্যে প্রকাশ করবে।

ফিউনিকুলার হলো একটি বিশেষ ধরনের পরিবহন ব্যবস্থা, যেখানে একটি তারের মাধ্যমে দুটি বগিকে যুক্ত করে একটিকে উপরে এবং অন্যটিকে নিচে নামানো হয়।

এই দুর্ঘটনার পর পর্তুগালের সরকার নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *