সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের ধারণা প্রায়ই আসে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির হাত ধরে। এমনই একজন প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হলেন ব্রায়ান জনসন, যিনি ‘লিভার কিং’ নামেই পরিচিত।
সম্প্রতি, এই লিভার কিং-এর স্ত্রী, বোজেনা “বারবারা” জনসন, যিনি ‘লিভার কুইন’ নামেই পরিচিত, আলোচনায় এসেছেন। তাঁদের জীবনযাত্রা, সম্পর্ক এবং ব্যবসার নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
ব্রায়ান এবং বারবারার প্রথম দেখা হয় ২০০৪ সালে, যখন তারা স্নোবোর্ডিং করতে গিয়েছিলেন। ব্রায়ান প্রথম দেখাতেই বারবারার প্রেমে পড়েন, যদিও বারবারা শুরুতে সেভাবে গুরুত্ব দেননি।
তাদের সম্পর্কের গভীরতা এত দ্রুত বাড়ে যে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তারা বাগদান করেন এবং কয়েক মাসের মধ্যেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া আজও বিদ্যমান।
তাদের জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ‘অ্যানসেস্ট্রাল লাইফস্টাইল’, অর্থাৎ আদিম জীবনযাত্রা। তাদের দুই ছেলে, স্ট্রাইকার এবং র্যাড, এই জীবনযাত্রার সঙ্গে অভ্যস্ত।
এই জীবনযাত্রার মূল ভিত্তি হলো কাঁচা মাংস ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ খাওয়া। তাদের এই খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রা শিশুদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বারবারা একবার বলেছিলেন, “অনেকেই এই ধরনের জীবনযাত্রার কথা বলে, কিন্তু বাস্তবে করে না।
তবে আমাদের কাছে, এটা সত্যিই আমাদের জীবন।”
বারবারা জনসন একজন সফল নারী। তিনি পেশায় ছিলেন ডেন্টিস্ট। দীর্ঘদিন ডেন্টিস্ট্রি পেশায় কাজ করার পর তিনি অবসর নেন এবং সৌন্দর্যচর্চার জগতে প্রবেশ করেন।
বর্তমানে তিনি ‘ক্রোয়া’ নামে একটি সৌন্দর্য পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক। এই প্রতিষ্ঠানটি পশু-ভিত্তিক উপাদান ব্যবহার করে ত্বকের যত্নের পণ্য তৈরি করে।
সৌন্দর্যচর্চার পাশাপাশি, বারবারা একজন সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবশালীও। তিনি নিয়মিত তার দৈনন্দিন জীবন, পরিবারের ছবি, এবং ব্যবসার বিভিন্ন দিক সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেন।
তাদের সম্পর্কের উত্থান-পতনও ঘটেছে। ব্রায়ান জনসনের স্টেরয়েড ব্যবহারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, বারবারা তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি সবসময় তার পাশে ছিলেন এবং এই কঠিন সময়ে সাহস জুগিয়েছেন।
পরবর্তীতে, ব্রায়ান জনসন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
তাদের জীবনযাত্রা এবং ব্যবসায়িক সাফল্যের মূল মন্ত্র হলো কঠোর পরিশ্রম, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং একে অপরের প্রতি সমর্থন। লিভার কিং এবং লিভার কুইনের এই গল্প অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা যোগায়।
তথ্যসূত্র: পিপল