আন্ফিল্ডে (Anfield) উৎসবের ঢেউ, লিভারপুলের (Liverpool) জয়যাত্রা: প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়।
ফুটবল যেন এক জীবন্ত নাটক। আর সেই নাটকের মঞ্চে এবার অন্যরকম দৃশ্যের অবতারণা করলো লিভারপুল।
টটেনহ্যাম হটস্পারকে (Tottenham Hotspur) ৫-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুললো তারা। পুরো ম্যাচের আকর্ষণ ছিলেন মোহামেদ সালাহ (Mohamed Salah)।
একদিকে তার অসাধারণ গোল, অন্যদিকে গ্যালারির দর্শকদের সাথে সেলফি তোলার দৃশ্য, সবমিলিয়ে তৈরি হয় এক আনন্দময় মুহূর্ত।
ম্যাচের ৬৩ মিনিটে, ডান দিক থেকে বল নিয়ে বক্সে প্রবেশ করেন সালাহ। এরপর তার বাঁ পায়ের জাদু, এবং বল সরাসরি জালে।
সাথে সাথেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। এরপর খেলোয়াড় এবং সমর্থকদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে রইলো সেলফি তোলার দৃশ্য।
আর্নে স্লটের (Arne Slot) অধীনে, পুরো মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে লিভারপুল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের প্রাধান্য ছিল চোখে পড়ার মতো।
দলের আক্রমণভাগ এবং রক্ষণভাগের দৃঢ়তা ছিল প্রশংসার যোগ্য। দলের খেলোয়াড়েরা যেন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য টটেনহ্যাম এগিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু লিভারপুল দ্রুতই খেলায় ফেরে। আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের (Alexis Mac Allister) জোরালো শট এবং কোডি গ্যাকপোর (Cody Gakpo) অসাধারণ গোলে ব্যবধান বাড়ায় তারা।
মাঝমাঠের খেলোয়াড়, যেমন ডমিনিক সোবোসলাই (Dominik Szoboszlai), আলেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার এবং রায়ান গ্রাভেনবার্খের (Ryan Gravenberch) পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।
তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
এই জয়ের ফলে লিভারপুলের সমর্থকদের মধ্যে আনন্দের ঢেউ লাগে। পুরো শহর যেন উৎসবে মেতে ওঠে।
মাঠের বাইরেও উৎসবের আমেজ ছিল চোখে পড়ার মতো।
আর্নে স্লটের কোচিং কৌশল এবং দলের প্রতি তার নিবেদিত প্রাণ মানসিকতা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।
তিনি সবসময় জয়কে প্রাধান্য দিয়েছেন, এবং দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছেন।
তবে, সামনের দিনগুলোতে দলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।
দলের গভীরতা বাড়ানো এবং আরও শক্তিশালী দল গঠন করা এখন প্রধান লক্ষ্য। প্যারিস সেন্ট জার্মেইনের (Paris Saint-Germain) কাছে পরাজয় এবং কারাবাও কাপের (Carabao Cup) ফাইনালে প্রত্যাশিত পারফর্ম করতে না পারাটা তাদের দুর্বলতা প্রমাণ করে।
তবে স্লট নিশ্চয়ই সেই দিকগুলো বিবেচনা করে দল গঠনে মনোযোগ দেবেন।
সংবাদমাধ্যম এবং ফুটবল বোদ্ধারা মনে করেন, এই জয় লিভারপুলের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
তথ্য সূত্র: The Guardian