স্বপ্ন সত্যি! কিভাবে লিভারপুল জয় করলো শিরোপা?

শিরোনাম: লিভারপুলের অসাধারণ শিরোপা জয়: আর্নে স্লটের অধীনে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।

নতুন মৌসুমে লিভারপুলের প্রিমিয়ার লিগ জয় শুধু একটি ক্লাবের সাফল্য নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি ফুটবল প্রেমীর জন্য আনন্দের উপলক্ষ। নতুন ম্যানেজার আর্নে স্লটের অধীনে দলটি তাদের কৌশলগত পরিবর্তন এবং খেলোয়াড়দের অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে এই জয় ছিনিয়ে আনে।

আসুন, সেই সাফল্যের পথে হাঁটা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের দিকে নজর রাখা যাক।

শুরুটা যেভাবে:
নতুন কোচ আর্নে স্লটের অধীনে লিভারপুলের যাত্রা শুরু হয়।

প্রথম ম্যাচে ইপসুইচের বিপক্ষে জয় দিয়ে শুভ সূচনা হয়, যেখানে দিয়োগো জোটা এবং মোহামেদ সালাহর গোলে জয় নিশ্চিত হয়। স্লট খেলার ধরনে পরিবর্তন আনেন, যা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

প্রথম ধাক্কা:
ইপসুইচের বিপক্ষে জয়ের পর ব্রেন্টফোর্ড ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জয় পেলেও, নটিংহ্যাম ফরেস্টের কাছে ১-০ গোলে অপ্রত্যাশিত হারে কিছুটা ধাক্কা লাগে।

এই পরাজয় দলের খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছিল।

সালাহর ঝলক:
আর্সেনালের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি ছিল টানটান উত্তেজনার।

মোহাম্মদ সালাহর শেষ মুহূর্তের গোল দলের মনোবল বাড়ায়। এই ম্যাচে দলের চরিত্র এবং ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ফুটে ওঠে।

স্লটের কৌশল:
ব্রাইটনকে ২-১ গোলে হারানোর পর যেন লিভারপুলের উড়ান শুরু হয়।

এরপর রিয়াল মাদ্রিদ এবং ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে জয় প্রমাণ করে দেয় স্লটের কৌশল কতটা কার্যকরী ছিল।

সংগ্রামের গল্প:
ফুলহামের বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি ছিল বেশ কঠিন।

১০ জন খেলোয়াড় নিয়ে খেলার পরেও কোডি গ্যাকপো এবং জোটার গোলে ড্র করে লিভারপুল। দলের এই লড়াইয়ের মানসিকতা সবার নজর কাড়ে।

বর্ষবরণের উপহার:
ক্রিসমাসের আগে টটেনহ্যামকে ৬-৩ গোলে হারিয়ে লিভারপুল তাদের সমর্থকদের দারুণ উপহার দেয়।

এই জয়ে লুইস ডিয়াজের অবদান ছিল অনস্বীকার্য।

অনিশ্চয়তা:
ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডকে নিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের প্রস্তাব আসায় কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।

তবে খেলোয়াড়দের দৃঢ়তা এবং মনোবলে দল অবিচল থাকে।

ঝড়ের মোকাবিলা:
জানুয়ারি মাসটা লিভারপুলের জন্য খুব একটা কঠিন ছিল না।

এরপর বোর্নমাউথ এবং কারবাও কাপে টটেনহ্যামকে হারানোর পর, এফ এ কাপে প্লেমাউথের কাছে অপ্রত্যাশিত হার এবং এভারটনের সাথে ড্র তাদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে।

তবে অ্যাস্টন ভিলার বিরুদ্ধে ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের গোলে ড্র করে তারা বুঝিয়ে দেয়, শিরোপা জেতার জন্য তারা কতটা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

ফলাফল নির্ধারণকারী জয়:
অ্যাস্টন ভিলার সাথে ড্র করার পর, আর্সেনাল ওয়েস্ট হ্যামের কাছে হেরে যায় এবং নটিংহ্যাম ফরেস্টের সাথে ড্র করে।

এই সময়ে লিভারপুল ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ এবং নিউক্যাসেলকে একই ব্যবধানে হারায়।

শিরোপা জয়:
বসন্তের শুরুতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিলেও, লিভারপুল তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যায়।

ওয়েস্ট হ্যামের বিরুদ্ধে জয় এবং সালাহ ও ভ্যান ডাইকের নতুন চুক্তি তাদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়ায়।

এরপর লেস্টারকে ১-০ গোলে হারিয়ে তারা তাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন পূরণ করে।

এই জয় শুধু একটি দলের নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লিভারপুলের কোটি কোটি সমর্থকের জন্য আনন্দের উপলক্ষ।

বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরাও এই জয়ে উচ্ছ্বসিত।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *