নতুন খবর: ওজেম্পিক থেকে সচেতন খাদ্যাভ্যাস: নিজের ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা জানালেন লিজো
জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা লিজো সম্প্রতি তাঁর ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ওজেম্পিক নামক একটি ওষুধ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল, যা মূলত ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হলেও ওজন কমানোর জন্য অনেকের কাছে পরিচিতি লাভ করেছে।
লিজো জানিয়েছেন, তিনি এই ওষুধটি ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু তাঁর মতে, ওজন কমানোর আসল চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনে।
একটি সাক্ষাৎকারে লিজো জানান, ওজন কমানোর জন্য তিনি সবকিছু চেষ্টা করেছেন। তাঁর কথায়, ক্যালোরি হিসাব করে খাবার গ্রহণ করাই এখানে মূল বিষয়।
ওজেম্পিক কাজ করে কারণ এটি খেলে ক্ষুধা কম লাগে, ফলে কম খাবার গ্রহণ করা হয়। তবে, তিনি মনে করেন, এই কাজটি নিজের ইচ্ছাশক্তি দিয়েও করা সম্ভব।
তাঁর সাম্প্রতিক ওজন কমানোর সাফল্যের পেছনে ওজেম্পিকের থেকে বেশি কাজ করেছে সচেতন খাদ্যাভ্যাস।
লিজো আরও জানিয়েছেন, আগে তিনি নিরামিষ খাবার খেতেন, যেখানে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের পরিমাণ বেশি ছিল।
প্রচুর পরিমাণে রুটি ও ভাত খাওয়ার কারণে তাঁর পেট ভরা মনে হলেও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাওয়া যেত না। এরপর তিনি যখন স্বাস্থ্যকর খাবার, যেমন – মাছ, মাংস, এবং অন্যান্য সবজি গ্রহণ করা শুরু করেন, তখন তাঁর শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয় এবং পেটও অনেকক্ষণ ভরা থাকত।
২০২৩ সাল থেকে লিজোর ওজন কমানোর যাত্রা শুরু হয়। তিনি জানিয়েছেন, সকালে মিষ্টি খাবারের বদলে সুস্বাদু খাবার গ্রহণ করা তাঁর জন্য উপকারী হয়েছে।
এছাড়াও, প্রত্যেকের শরীর ভিন্ন হওয়ায় নিজের জন্য সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুঁজে বের করাটা জরুরি। বিজ্ঞানসম্মতভাবে, ক্যালোরির হিসাব মেনেই ওজন কমানো সম্ভব।
লিজো তাঁর শরীরের মেদ প্রায় ১৬ শতাংশ কমিয়ে আনতে পেরেছেন এবং বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ১০.৫ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
শুধু খাদ্যাভ্যাস নয়, মানসিকতার পরিবর্তনও লিজোর ওজন কমানোর যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তিনি জানিয়েছেন, আগে তিনি বন্ধু এবং বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে মনকে অন্যদিকে ব্যস্ত রাখতেন। খাবার, মদ্যপান অথবা অন্যান্য সমস্যা তৈরি করে নিজেকে বিভ্রান্ত করতেন।
কিন্তু এখন তিনি সে সব থেকে দূরে থেকে নিজের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি লিজো তাঁর শরীরের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আগে শরীর নিয়ে তাঁর যে ধারণা ছিল, তা এখন বদলে গেছে। তিনি সবসময় তাঁর শরীরকে ভালোবাসেন, এমনটা নয়।
মাঝে মাঝে শরীরের প্রতি তাঁর ভালো লাগা কাজ করে, আবার কখনো ভালো লাগে না।
তথ্যসূত্র: পিপল