লন্ডন ম্যারাথন: বিশ্ব রেকর্ড গড়ে তাক লাগালো!

লন্ডন ম্যারাথনে বিশ্ব রেকর্ড, মানুষের অংশগ্রহণে নতুন দৃষ্টান্ত

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ম্যারাথন প্রতিযোগিতা, লন্ডনের রাস্তাগুলোতে সম্প্রতি এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। ৪৫তম লন্ডন ম্যারাথনে দৌড় শেষ করা মানুষের সংখ্যা অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

শুধু তাই নয়, এবারের আসরে প্রায় আট লক্ষ দর্শক সমাগম হয়েছে, যা এই ইভেন্টের ইতিহাসে নতুন এক মাইলফলক।

স্বাভাবিকভাবেই, এত মানুষের অংশগ্রহণে এবারের লন্ডন ম্যারাথন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে যেমন ছিল ক্রীড়াবিদদের অসাধারণ দৌড়, তেমনই ছিল বিভিন্ন সামাজিক প্রেক্ষাপট থেকে আসা মানুষের একাত্মতা।

এই ম্যারাথনে অনেকে অংশ নিয়েছিলেন প্রিয়জনদের স্মরণে, আবার অনেকে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছেন।

অনুষ্ঠানটির পরিচালক হিউ ব্রাশার এই অসাধারণ দিনটির কথা উল্লেখ করে বলেন, “রেকর্ডের দিন হলেও, এটি ছিল সবার একসঙ্গে আসার এবং একে অপরের প্রতি সমর্থন জানানোর এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত।”

এবছরের ম্যারাথনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে ছিলেন সের্হিও আগুইয়ার এবং ডেভিড স্ট্যানকোম্ব। তাঁরা দুজনেই তাদের মেয়েদের স্মরণে একটি বিশেষ প্রকল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন।

দুঃখজনকভাবে, তাঁদের দুই মেয়ের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। এই কঠিন সময়েও তাঁরা মনোবল হারাননি, বরং ম্যারাথনে অংশ নিয়ে মেয়েদের প্রতি সম্মান জানিয়েছেন।

মহিলাদের বিভাগে ইথিওপিয়ার টিগিস্ট অ্যাসেফা ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছেন। পুরুষদের বিভাগে কেনিয়ার সেবাস্তিয়ান সাওয়ে জয়লাভ করেন।

ব্রিটিশ অলিম্পিক ট্রায়াথলন স্বর্ণপদক জয়ী অ্যালেক্স ইয়ি প্রথমবারের মতো ম্যারাথনে অংশ নিয়ে ২ ঘণ্টা ১১ মিনিট ৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেন।

এবারের ম্যারাথনে শুধু ক্রীড়াবিদদের জয়জয়কার ছিল না, বরং ছিল অন্যরকম কিছু রেকর্ড। ক্রিস “রাইনো বয়” গ্রিন নামের একজন ব্যক্তি ৩-ডি (3D) পোশাক পরে ম্যারাথনে অংশ নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন।

তিনি ১১৩টি ম্যারাথনে এই পোশাকে দৌড়েছেন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে তহবিল সংগ্রহ করেছেন।

লন্ডন ম্যারাথনের এই সফল আয়োজন প্রমাণ করে, খেলাধুলা শুধু শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নয়, বরং এটি মানুষের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার বন্ধন তৈরি করে।

এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার সুযোগ করে দেয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *