বিশ্বজুড়ে ‘টেকডাউন টেসলা’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে লন্ডনের একটি টেসলা শোরুমের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে। এই বিক্ষোভে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্কের বিভিন্ন নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
তাদের অভিযোগ, মাস্কের কিছু সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্যের কারণে তিনি ক্রমশ ডানপন্থী আদর্শের দিকে ঝুঁকছেন, যা উদ্বেগের কারণ।
পশ্চিম লন্ডনের পার্ক রয়্যালে অবস্থিত টেসলা শোরুমের সামনে শনিবার এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মাস্কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভের মূল কারণ ছিল মাস্কের রাজনৈতিক অবস্থান এবং টেসলার গ্রাহকদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি। বিক্ষোভকারীদের মতে, মাস্কের নীতিগুলি শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী, বিদেশি বিদ্বেষী এবং নারীবিদ্বেষী—এমন কিছু গোষ্ঠীর প্রতি সহানুভূতি দেখাচ্ছে।
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। এদের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এবং সেখান থেকে আসা ব্যক্তিরা, যারা মাস্কের নীতির কারণে উদ্বিগ্ন। তাছাড়াও, ছিলেন সমকামীদের অধিকার কর্মী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতারাও।
তাদের মতে, মাস্কের বিতর্কিত মন্তব্য এবং কার্যক্রমের কারণে টেসলার ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা টেসলার শেয়ারের দাম এবং বিক্রি হ্রাসের মাধ্যমে মাস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চান। তাদের মতে, এর মাধ্যমেই মাস্ককে তার নীতি পরিবর্তনে বাধ্য করা যেতে পারে।
অন্যদিকে, টেসলা কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় শোরুমের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তবে, যুক্তরাজ্যের বাজারে টেসলার বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যদিও ইউরোপে তাদের বিক্রি কমেছে।
বিক্ষোভকারীরা জানান, তারা চান মাস্ক তার নীতি পরিবর্তন করুন এবং সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের প্রতি আরও শ্রদ্ধাশীল হন। তারা বিশ্বাস করেন, এই ধরনের বিক্ষোভের মাধ্যমেই পরিবর্তন আনা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান