যুক্তরাষ্ট্রে বিভীষিকা! দীর্ঘতম অচলাবস্থা: কিভাবে? এখনই দেখুন!

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে অচলাবস্থা: এক গভীর সংকট

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারে আবারও অচলাবস্থা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর-এর মধ্যে যদি কংগ্রেস সরকারি ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে না পারে, তাহলে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।

এমনটা ঘটলে দেশটির সরকারি কাজকর্ম কিছুদিনের জন্য থমকে যেতে পারে, যা দেশের অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।

এর আগে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত, প্রায় ৩৫ দিন ধরে চলা দীর্ঘতম অচলাবস্থার সাক্ষী ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলস্বরূপ দেশটির অর্থনীতি প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার (বর্তমান বাজার অনুযায়ী প্রায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি) ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল।

এই অচলাবস্থার কারণে সরকারি অনেক দপ্তর তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল।

আসলে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালনায় অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি কংগ্রেসের উভয় কক্ষ – প্রতিনিধি পরিষদ এবং সিনেট – এর অনুমোদনের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর, সরকারি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ অনুমোদন করতে হয়।

কিন্তু যখন এই দুই কক্ষের মধ্যে ব্যয় বরাদ্দের বিষয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়, তখনই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিতে, রিপাবলিকান দলের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার, মাইক জনসন-এর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুবই সামান্য। সিনেটে প্রয়োজনীয় ৬০টি ভোট না থাকায়, কোনো বিল পাস করানোও কঠিন হয়ে পড়েছে।

ফলে, অচলাবস্থা এড়ানোর পথ এখনো বেশ কঠিন বলেই মনে হচ্ছে।

যদি অচলাবস্থা হয়, তাহলে এর প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। এর ফলে, সরকারি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যেমন – জাতীয় উদ্যান, পাসপোর্ট অফিস, এবং অন্যান্য সরকারি দপ্তরগুলোর কার্যক্রম।

এমনকি, অনেক সরকারি কর্মচারীকে বেতন ছাড়াই ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।

আগের অচলাবস্থাগুলোতে দেখা গেছে, কিছু দপ্তর তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পেরেছিল, কারণ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল।

তবে, এবার যদি কোনো সমঝোতা না হয়, তাহলে অনেক বেশি সংখ্যক সরকারি দপ্তরকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অচলাবস্থা শুধু যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ব অর্থনীতিতে এর নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে।

তাই, সবারই দৃষ্টি এখন কংগ্রেসের সিদ্ধান্তের দিকে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *