লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভ: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ংকর ভুল তথ্য!

লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রতিবাদের খবর: বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যম, বাড়ছে উত্তেজনা।

লস অ্যাঞ্জেলেসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়াচ্ছে বিভ্রান্তিকর তথ্য। এই ভুয়া তথ্যের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে, যা উদ্বেগের কারণ।

ফেসবুক, টুইটার (বর্তমানে এক্স), টিকটকের মতো জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোতে কিছু ভুয়া খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এগুলো মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence – AI) ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, ন্যাশনাল গার্ডের একজন সদস্যকে নিয়ে তৈরি করা একটি ভুয়া ভিডিও টিকটকে কয়েক লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ভিডিওটিতে ওই সদস্যকে বিক্ষোভকারীদের উপর আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিতে দেখা যায়।

যদিও বিবিসি নিউজ (BBC News) এটিকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তবুও অনেকে এটিকে সত্যি বলে মনে করছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি অনেকটা ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড আন্দোলনের সময়কার তথ্য বিভ্রাতির মতোই। তখন আসল ঘটনার সাথে পুরোনো ভিডিও জুড়ে দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছিল।

বর্তমানে, এআই প্রযুক্তির উন্নতির কারণে ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা আরও সহজ হয়ে গেছে।

বিভিন্ন রাজনৈতিকideologyর মানুষেরা এই ঘটনা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মন্তব্য করছেন। ডানপন্থী চিন্তাধারার অনুসারীরা বিক্ষোভকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করছেন, আবার বামপন্থীরা প্রেসিডেন্টের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন।

এছাড়াও, কিছু ভুয়া খবর এমনভাবে ছড়ানো হচ্ছে যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। যেমন, একটি পোস্টে দাবি করা হয় যে মেক্সিকো লস অ্যাঞ্জেলেসে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছে।

এই পোস্টটি কয়েক মিলিয়ন মানুষ দেখেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া ও চীনের মতো দেশগুলোও এই ঘটনার সুযোগ নিচ্ছে। তারা হয়রানির ছবি ও ভিডিও প্রচার করে আমেরিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চাইছে।

এমনকি, তারা বিক্ষোভের পেছনে বিভিন্ন গোষ্ঠীর অর্থায়নের গুজবও ছড়াচ্ছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম (Gavin Newsom) জনগণকে কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে তা যাচাই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

এই ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য সমাজে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এবং সত্য ঘটনাকে আড়াল করতে পারে। তাই, সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত কোনো খবর যাচাই না করে বিশ্বাস করা উচিত নয়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *