প্যারিসের বিখ্যাত লুভর জাদুঘরে মুকুট চুরি যাওয়ার ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। এর মধ্যেই আলোচনার জন্ম দিয়েছে একটি ছবি।
ঘটনাচক্রে ছবিটি তুলেছেন অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) ফ্রান্সে কর্মরত এক আলোকচিত্রী, থিবো কামুস। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন ফরাসি পুলিশ সদস্যের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন পরিপাটি পোশাকে সজ্জিত এক ব্যক্তি।
গত ১৯শে অক্টোবর, রবিবার, দিনের আলোয় হওয়া এই দুঃসাহসিক চুরির পর, স্বাভাবিকভাবেই, জাদুঘরের বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। কামুস সেই সময়ই ছবিটি তোলেন।
ছবিতে পুলিশের গাড়ি দেখা গেলেও, ভালোভাবে সাজপোশাক করা এক ব্যক্তির উপস্থিতি দর্শকদের মনে অন্যরকম কৌতূহল সৃষ্টি করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পরেই শুরু হয় নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকে লোকটিকে বিখ্যাত ‘পিঙ্ক প্যান্থার’ সিনেমার ইনস্পেক্টর ক্লুজোর সঙ্গে তুলনা করেন।
তাদের ধারণা, ছবিতে থাকা ব্যক্তি হয়তোবা এই ঘটনার তদন্তের সঙ্গে জড়িত কোনো গোয়েন্দা।
তবে, এপি’র তোলা ছবিতে ওই ব্যক্তির পরিচয় দেওয়া হয়নি। বরং, ক্যাপশনে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, “রবিবার, ১৯শে অক্টোবর, ২০২৫, প্যারিসে এক চুরির ঘটনার পর, পুলিশ লুভর জাদুঘরের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেয়।”
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ (সাবেক টুইটার) ছবিটি ৫৬ লক্ষ বারের বেশি দেখা হয়েছে।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ফরাসি ক্রাউন জুয়েলের (রাজকীয় অলঙ্কার) চুরির ঘটনার তদন্তেরত এক ফরাসি গোয়েন্দার আসল ছবি, কোনো এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) নয়!”
আরেকজন ব্যবহারকারী, যিনি ১২ লক্ষ ফলোয়ারের মালিক, দাবি করেছেন, “১৯৪০ দশকের ডিটেকটিভ ফিল্মের মতো দেখতে এই ব্যক্তি আসলে ফরাসি পুলিশের একজন গোয়েন্দা, যিনি এই চুরির তদন্ত করছেন।”
তবে, আলোকচিত্রী থিবো কামুস জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি শুধু ওই ব্যক্তিকে পুলিশের পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেন।
কর্তৃপক্ষের তরফে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। প্যারিসের কৌঁসুলি অফিসের পক্ষ থেকে এপি’র প্রশ্নের জবাবে মজা করে বলা হয়েছে, “আমরা রহস্য জিইয়ে রাখতে চাই।”
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস