প্রেমের এক আশ্চর্য গল্প! চল্লিশ বছর আগে, লেখকের বাবা-মায়ের প্রথম সাক্ষাত হয় একটি খেলাধুলার আসরে এবং এর ছয় মাস পরেই তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই ভালোবাসার গল্প লেখককে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে, তিনিও যেন সেই পথেই হেঁটেছেন। সম্প্রতি, তিনি তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবং তাদের সম্পর্কের শুরুটাও হয়েছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে।
লেখকের বাবা-মা’র প্রথম দেখা হওয়ার ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ। বাবার ব্যবসার ডিগ্রী ছিল, আর মা ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাদের দুজনের বাড়ি কাছাকাছি হলেও, আগে কখনো দেখা হয়নি। ঘটনাচক্রে, একটি খেলাধুলার আসরে তাদের দেখা হয় এবং অল্প দিনের মধ্যেই তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন। পরিবারের অমত সত্ত্বেও, তারা তাদের ভালোবাসার পথে অবিচল ছিলেন এবং দ্রুতই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তাদের এই দ্রুত সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই হয়তো অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, তবে তাদের ভালোবাসার গভীরতা ছিল প্রশ্নাতীত।
ছোটবেলায় লেখকের স্বাস্থ্য নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল, যা তাকে একাকীত্বে ভুগতে বাধ্য করত। তিনি সবসময়ই একটি অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলেন, যা তাকে ভালোবাসার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত করে তুলেছিল। তিনি ভয় পেতেন, যদি কোনো কারণে তিনি তার ভালোবাসার মানুষকে হারা …
কিন্তু জীবন সবসময় আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত কিছু নিয়ে আসে। লেখকের জীবনেও তেমন এক ঘটনা ঘটে, যখন তিনি তার বর্তমান জীবনসঙ্গীর সাথে পরিচিত হন। একটি কফি শপে তাদের প্রথম দেখা হয় এবং সেখান থেকেই তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত। তারা একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং তাদের সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে।
লেখকের ভাষায়, “আমি জানি না, কী এমন ছিল যা আমাকে তার প্রতি আকৃষ্ট করেছিল। কিন্তু আমি অনুভব করি, প্রতিদিন আমরা একে অপরের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হচ্ছি।” তাদের সম্পর্কের ছয় মাস পূর্ণ হওয়ার পরেই তারা বিবাহের সিদ্ধান্ত নেন।
এই গল্পের মাধ্যমে লেখক জীবনের প্রতি তার নতুন দৃষ্টিভঙ্গির কথা তুলে ধরেছেন। তিনি জীবনের অনিশ্চয়তাকে মেনে নিয়ে ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিতে শিখেছেন। তিনি এখন ভালোবাসার আনন্দ উপভোগ করতে চান এবং জীবনকে পরিপূর্ণভাবে অনুভব করতে চান।
ভালোবাসা সত্যিই এক অসাধারণ অনুভূতি। এটি আমাদের জীবনকে নতুন আলোয় আলোকিত করে এবং আমাদের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলে। লেখকের এই গল্পটি ভালোবাসার তেমনই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল