দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে (Seoul) এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে।
সেখানকার বিভিন্ন স্থানে “লাভবাগ” (Lovebug) নামক এক প্রকার পোকার উপদ্রব ব্যাপক হারে বেড়েছে, যা নগরবাসীর জন্য এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গিয়েংগান পর্বতমালায় (Gyeyangsan Mountain), যা সিউলের কাছে অবস্থিত, সেখানে এই লাভবাগগুলি মানুষকে ঘিরে ধরছে।
ভিডিওতে এক ব্যক্তিকে পোকামাকড় তাড়াতে চেষ্টা করতে দেখা যায়, কিন্তু তাদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে তার প্রচেষ্টা কার্যত ব্যর্থ হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটির সূত্র ধরে জানা যায়, চলতি বছর সিউলে লাভবাগ নিয়ে অভিযোগের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে এই সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।
গত বছর যেখানে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৪,৪১৮, সেখানে এ বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯,২৯৬-এ।
সিউল মেট্রোপলিটন সরকার লাভবাগ নির্মূলের জন্য কীটনাশক ব্যবহার না করার জন্য বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষের মতে, লাভবাগ ক্ষতিকারক পোকামাকড় নয়, বরং তারা পরাগ বহন করে এবং মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
তবে, অতিরিক্ত লাভবাগের কারণে স্থানীয় ব্যবসা-বাণিজ্যে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
যদিও লাভবাগগুলো মানুষের জন্য সরাসরি স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে না, তবে তাদের অতিরিক্ত উপস্থিতির কারণে অনেক সময় অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাভবাগগুলি সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ায় সক্রিয় থাকে।
এই পোকাগুলো যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অংশে, বিশেষ করে ফ্লোরিডা, টেক্সাস এবং লুইজিয়ানাতেও দেখা যায়।
এই ধরনের পোকামাকড়ের উপদ্রব মোকাবিলা করা একটি জটিল সমস্যা।
সিউলের এই অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে কীভাবে নগর জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই বিষয়ে সচেতনতা জরুরি।
আমাদের দেশেও, বিশেষ করে বর্ষাকালে মশা ও অন্যান্য পোকামাকড় বেড়ে যাওয়ায় অনেক সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
তাই, লাভবাগের এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবেশবান্ধব উপায়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল (People)