বিখ্যাত মার্কিন অভিনেত্রী লুসিল বল এবং অভিনেতা ডেসি আরনাজের কন্যা লুসি আরনাজের একটি বিরল সাক্ষাৎকার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি তার বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত জীবন এবং তাদের সম্পর্ক নিয়ে কিছু কথা বলেছেন। সিবিএস সানডে মর্নিংয়ে প্রচারিত এই সাক্ষাৎকারে লুসি আরনাজ তার বাবা-মায়ের বিবাহিত জীবন সম্পর্কে মুখ খোলেন।
লুসিল বল এবং ডেসি আরনাজের জুটি একসময় হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ছিলেন। তাদের বিখ্যাত টেলিভিশন শো ‘আই লাভ লুসি’ সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তবে তাদের ব্যক্তিগত জীবন সবসময় একইরকম ছিল না। ১৯৬০ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
লুসি তখন আট বছর এবং তার ভাই ডেসি জুনিয়র ছিলেন সাত বছরের শিশু।
সাক্ষাৎকারে লুসি আরনাজ তার বাবার বিরুদ্ধে ওঠা কিছু অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, ডেসি আরনাজের অন্য নারীদের সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা গেলেও, আসলে তেমন কিছুই ছিল না।
লুসি’র মতে, ডেসি’র এইসব সম্পর্ক ছিল নিতান্তই ‘লেনদেনমূলক’। তিনি আরও বলেন, তার মা লুসিল এটা বুঝতেন। সম্ভবত এই কারণেই তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে ছিলেন।
যদিও বিবাহ বিচ্ছেদের পর তারা দুজনেই আগের চেয়ে অনেক সুখী ছিলেন।
লুসিল আরনাজ আরও জানান, ছোটবেলায় বাবার সম্মান রক্ষায় তিনি সবসময় সচেষ্ট ছিলেন। তিনি মনে করতেন, তার বাবাই যেন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।
১৯৯১ সালে ‘পিপল’ ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে লুসিল বলের বন্ধু লilian Briggs Winograd-এর একটি বক্তব্য পাওয়া যায়। যেখানে তিনি জানান, ডেসি আরনাজের মৃত্যুর পর লুসিল বলের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল।
উইনোগ্রাড জানান, ডেসি আরনাজের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে লুসিল তাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং তখন তিনি খুব ভেঙে পড়েছিলেন।
ডেসি আরনাজের ঘনিষ্ঠজন বব ওয়েইসকফ নামের একজন লেখকদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ডেসি’র ধারণা ছিল, তিনি তো লুসিলকে ভালোবাসেন, আর অন্য নারীদের সঙ্গে তার সম্পর্কগুলো ছিল নিছক ‘পেশাদারী সম্পর্ক’, যেগুলোর কোনো গুরুত্ব নেই।
লুসিল বল ১৯৮৯ সালে মারা যান এবং ডেসি আরনাজের মৃত্যু হয় ১৯৮৬ সালে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে।
তথ্যসূত্র: পিপল