মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ইউনাইটেডহেলথকেয়ার সিইও ব্রায়ান থম্পসনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত লুইজি ম্যাঙ্গিয়োনে নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার শুনানি আবারও শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কের আদালতে হাজির হয়েছিলেন ২৭ বছর বয়সী ম্যাঙ্গিয়োনে।
এই মামলায় বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে শুনানির রায় দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছর ম্যানহাটনের একটি হোটেলে ইউনাইটেডহেলথকেয়ারের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার সময় ব্রায়ান থম্পসনকে গুলি করা হয়। এই ঘটনায় ম্যাঙ্গিয়োনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতে ম্যাঙ্গিয়োনের আইনজীবীরা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খারিজ করার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের যুক্তি হলো, একই হত্যার জন্য ম্যাঙ্গিয়োনের বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে ইতিমধ্যে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
একই অপরাধের জন্য একজন ব্যক্তিকে দুবার অভিযুক্ত করা যায় না – এমন যুক্তিতে তাঁরা মামলাটি বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন। আইনজীবীরা আরও আবেদন করেছেন, ম্যাঙ্গিয়োনের গ্রেপ্তারের সময় জব্দ করা আলামত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দেওয়া তাঁর বক্তব্য যেন প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ না করা হয়।
ম্যাঙ্গিয়োনের আইনজীবীরা বলছেন, সরকারি কৌঁসুলিরা অন্যায়ভাবে তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা আদালতের কাছে আবেদন করেছেন, ফেডারেল আদালতে চলমান মৃত্যুদণ্ডের মামলার শুনানি আগে শুরু করা হোক।
তাঁদের আশঙ্কা, যদি রাজ্য আদালতে ম্যাঙ্গিয়োনের বিচার দ্রুত সম্পন্ন হয়, তাহলে পরে ফেডারেল আদালতে নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া কঠিন হবে।
অন্যদিকে, সরকারি কৌঁসুলিরা বলছেন, এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে একটি রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁরা ম্যাঙ্গিয়োনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিভিন্ন লেখার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
এই ওয়েবসাইটে মামলার বিষয়ে নিয়মিত তথ্য দেওয়া হয়। ম্যাঙ্গিয়োনের আইনজীবীরা অবশ্য বলছেন, তাঁর মক্কেল কোনো ধরনের ভীতি তৈরি করতে চাননি।
তাঁরা এই ঘটনার জন্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রকাশিত কিছু লেখাকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি, পুলিশই এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গিবাদের ধারণা যুক্ত করেছে।
আদালতে শুনানির শুরুতে ম্যাঙ্গিয়োনের ছবি তোলার অনুমতি ছিল। জানা গেছে, এই মামলার শুনানির জন্য ইতিমধ্যে অনলাইনে ১২ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ কোটি টাকার বেশি।
ম্যাঙ্গিয়োনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। এছাড়া, ফেডারেল সরকার তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানাবে বলে জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন