মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন রিপাবলিকান দলের সদস্য আনা পাউলিনা লুনা এবং স্পিকার মাইক জনসন। এই চুক্তির ফলে, যেসব সদস্য শারীরিক অসুস্থতা বা নতুন মা হওয়ার কারণে সভায় উপস্থিত থাকতে পারবেন না, তারা এখন থেকে ‘প্রক্সি ভোটিং’-এর মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
এই সিদ্ধান্তের পূর্বে, ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান লুনা নতুন বাবা-মায়েদের জন্য প্রক্সি ভোটের অনুমতি চেয়েছিলেন। তিনি নিজেও সন্তান জন্ম দেওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ ভোট দিতে পারেননি। স্পিকার জনসন প্রথমে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেও, পরবর্তীতে নমনীয় হন।
জানা যায়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও নতুন মায়েদের জন্য প্রক্সি ভোটের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ব্যবস্থায়, হাউজ অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের সদস্যরা তাদের অনুপস্থিতিতে অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা দিতে পারেন, যা ‘প্রক্সি ভোটিং’ নামে পরিচিত। এটি মূলত অসুস্থতা, জরুরি অবস্থা বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে সভায় উপস্থিত থাকতে অক্ষম সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য।
নতুন এই চুক্তির ফলে, সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে মায়েরা এখন এই সুবিধা পাবেন।
আলোচিত এই পরিবর্তনের ফলে হাউজের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারবে। লুনা এর আগে জানিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়ে সমাধান না হলে একটি ‘ডিসচার্জ পিটিশন’-এর মাধ্যমে তার প্রস্তাবটি হাউজে উত্থাপন করতে পারেন। তবে, স্পিকার জনসন এবং রিপাবলিকান পার্টির নেতারা এই ধরনের পরিবর্তন আনতে দ্বিধা বোধ করছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তিনি প্রকাশ্যে নতুন মায়েদের জন্য প্রক্সি ভোটের পক্ষে কথা বলেন।
যদিও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্পিকারের উপর নির্ভর করে, ট্রাম্পের এই সমর্থন জনমতকে প্রভাবিত করেছে।
উল্লেখ্য, স্পিকার জনসন নিজেও অতীতে প্রক্সি ভোটিং ব্যবহার করেছেন, যখন ন্যান্সি পেলোসি স্পিকার ছিলেন। তবে, তিনি পরে এর শর্তহীনতার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন