অবশেষে: আর্থিক কেলেঙ্কারিতে দ্বিতীয় বিভাগে লিওঁ!

ফরাসি ফুটবলে এক সময়ের পরাক্রমশালী দল অলিম্পিক লিওঁর (Lyon) অবনমন ঘটেছে। আর্থিক অনিয়মের কারণে ক্লাবটিকে দ্বিতীয় বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার ফরাসি ফুটবল লিগের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিএনসিজি (DNCG)-এর আর্থিক নিরীক্ষার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর অনুযায়ী, ক্লাবটির বর্তমান দেনা প্রায় ১৭৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় বিশাল একটি অঙ্ক।

লিওঁর এই দুর্দশার পেছনে মূলত রয়েছে ক্লাবের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। ডিএনসিজি-র পক্ষ থেকে এর আগে, নভেম্বরেও ক্লাবটিকে দ্বিতীয় বিভাগে নামানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

তখন ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাদের প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি ঋণ রয়েছে। খেলোয়াড় কেনাবেচার বাজারেও তারা ছিল বেশ কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। এমনকি, দলবদলের বাজারেও তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

লিওঁর মালিক হলেন মার্কিন ব্যবসায়ী জন টেক্সটর। তার ব্রাজিলের ক্লাব বোটাফোগো এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ক্রিস্টাল প্যালেসেও শেয়ার রয়েছে।

প্যারিসে ডিএনসিজি-র শুনানিতে টেক্সটর উপস্থিত ছিলেন। তিনি দলটির ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন, কারণ ক্লাবটি আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল।

তবে, পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত তাদের অনুকূলে আসেনি। গত সোমবার, ক্রিস্টাল প্যালেস ঘোষণা করে, নিউ ইয়র্ক জেটসের মালিক ওডি জনসন টেক্সটরের শেয়ার কেনার জন্য একটি চুক্তি করেছেন।

টেক্সটরের লন্ডনের ক্লাবটিতে ৪৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে এবং এই চুক্তির মূল্য প্রায় ২২ থেকে ২৬ কোটি মার্কিন ডলার হতে পারে বলে জানা গেছে।

কিছুদিন আগে অবশ্য লিওঁ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল। তারকা ফুটবলার রায়ান শের্কিকে তারা ৩৬ মিলিয়ন ইউরোতে বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছিল।

কিন্তু ক্লাবের উপর চাপ ছিল অনেক বেশি। দুই বছর আগে, ডিএনসিজি তাদের দলবদলের উপর নজরদারি শুরু করে এবং খেলোয়াড়দের বেতন ও দলবদলের খরচ সীমিত করার নির্দেশ দেয়।

লিওঁ এক সময় ফরাসি ফুটবলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা সাতবার তারা লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়।

২০২০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলেছিল তারা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা সেই সাফল্যের ধারা ধরে রাখতে পারেনি।

এমনকি, তারা আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতাও অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, লিগ ওয়ানে ষষ্ঠ স্থানে থেকে মৌসুম শেষ করে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *