ছেলের সামনে কেঁদে ফেললেন মা! এরপর যা হলো…

শিরোনাম: ছেলের সামনে কেঁদে ফেলার পর ‘আবেগ-প্রবণ’ তকমা লাগার আশঙ্কায় মা

সম্প্রতি, ব্রিটেনের একটি অনলাইন ফোরামে (forum) নিজের অভিজ্ঞাতা ভাগ করে নিয়ে এক মা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, ৯ বছর বয়সী ছেলের একটানা বায়নার (whining) কারণে তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন।

এরপর তিনি মনে করছেন, হয়তো তাকে ‘আবেগ-প্রবণ’ মা হিসেবে চিহ্নিত করা হতে পারে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ওই মায়ের ছেলে সকালে ঘুম থেকে উঠেই নানা বায়না জুড়ে দেয়। টিভি দেখতে চাওয়া থেকে শুরু করে, আইপ্যাড (iPad) ব্যবহারের আবদার, এমনকি সকালের নাস্তার মেনু নিয়েও তার ছিল অভিযোগ।

ছেলের এই আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে মা চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তিনি ছেলেকে বুঝিয়ে বলেন যে, তার এমন বায়না করাটা একদম ভালো লাগছে না এবং এতে তিনি খুবই কষ্ট পাচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে তিনি ব্রিটেনের জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘মামসনেট’-এ (Mumsnet) অন্যদের পরামর্শ চেয়েছেন। এই ওয়েবসাইটে মায়েরা একে অপরের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে থাকেন।

মা তার পোস্টে জানতে চেয়েছেন, “আপনারা কি আপনাদের সন্তানদের সামনে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন? তাদের সামনে কাঁদেন, ইত্যাদি?”

ফোরামের অন্য সদস্যরা মায়ের উদ্বেগের জবাবে বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। অধিকাংশ সদস্যই বলেছেন, মাঝে মাঝে সন্তানদের সামনে আবেগ প্রকাশ করাটা স্বাভাবিক এবং এতে ভয়ের কিছু নেই।

তাদের মতে, বিষয়টি যদি সন্তানের উপর প্রভাব ফেলে, তবে তা থেকে সে অনেক কিছুই শিখতে পারে। কারো কারো মতে, এতে শিশুরা বুঝতে পারে যে বাবা-মা’রাও মানুষ এবং তাদেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

সাধারণভাবে, সন্তানদের সামনে অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়া ভালো নয়, তবে মাঝে মাঝে এমনটা হতেই পারে। এই ঘটনার মাধ্যমে মা হয়তো তার ছেলেকে বুঝিয়ে বলতে পেরেছেন যে, সবসময় বায়না করলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে।

তবে, আমাদের সমাজে শিশুদের সামনে আবেগ প্রকাশ করাটা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক পরিবারে, বিশেষ করে আমাদের দেশে, বাবা-মায়ের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখার একটা প্রবণতা দেখা যায়।

সন্তানদের সামনে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করতে অনেকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।

তবে, এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শিশুদের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবেগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাঝে মাঝে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করাটা হয়তো তাদের জন্য ভালো।

এর মাধ্যমে তারা শিখতে পারে যে, মানুষ হিসেবে সবারই কিছু দুর্বলতা থাকতে পারে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *