সান্তা ক্লারা, ক্যালিফোর্নিয়া – সান ফ্রান্সিসকো ফোরটি নাইনার্সের খেলোয়াড় ম্যাক জোনস, বাম হাঁটুতে গুরুতর আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও লস অ্যাঞ্জেলেস র্যামসের বিরুদ্ধে অসাধারণ লড়াই করে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। খেলার অতিরিক্ত সময়ে (ওভারটাইম) তারা র্যামসকে ২৭-২০ পয়েন্টে পরাজিত করে।
এই ম্যাচে জোনস ৩৪২ গজ অতিক্রম করে দুটি টাচডাউন করেন।
ম্যাচের শুরুতে ব্রক পার্ডির ‘টার্ফ টো’ ইনজুরির কারণে কোয়ার্টারব্যাক হিসেবে মাঠে নামেন জোনস। পার্ডি সম্ভবত কয়েক সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে থাকবেন।
কোচ কাইল শ্যানাহান ম্যাচ শেষে জানান, ট্যাম্পা বে-এর বিপক্ষে পরবর্তী খেলায় পার্ডির খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন পরিস্থিতিতে জোনসের এই দৃঢ়তা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ম্যাচের তৃতীয় কোয়ার্টারে র্যামসের লাইনব্যাকার বাইরন ইয়ংয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জোনসের হাঁটুতে চোট লাগে। এর আগে থেকেই তিনি হাঁটুতে একটি ব্রেস পরে ছিলেন।
মাঠেই দলের চিকিৎসা কর্মীরা তাঁর চোট পরীক্ষা করেন। এই ঘটনার পর জোনস কিছুটা খুঁড়িয়ে চললেও, পরে আবার খেলায় ফিরে আসেন।
কোচ শ্যানাহান জোনসের এই সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেন, ‘সে একজন যোদ্ধা। প্রথম অর্ধে সে অসাধারণ খেলেছে।
দ্বিতীয়ার্ধে আঘাত পাওয়ার পরেও সে লড়াই চালিয়ে গেছে এবং বল ভালোভাবে রক্ষা করেছে।’
খেলার শেষ দিকে, জোনসের হাতে আবারও ক্র্যাম্প ধরে, তবে তিনি মাঠ ছাড়েননি। বরং, তিনি দলের হয়ে ফিল্ড গোল করার সুযোগ তৈরি করেন এবং অতিরিক্ত সময়ে দলকে জয় এনে দেন।
জোনসের সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ান ম্যক্যাফ্রে বলেছেন, ‘জোনস একজন নেতা। আমরা সবাই তাঁর ওপর ভরসা করতে পারি। তাঁর মনোভাব এবং খেলার ধরন আমাদের জন্য দৃষ্টান্তস্বরূপ।’
যদি কোনো কারণে জোনস এবং পার্ডি দুজনেই খেলতে না পারেন, তবে দলের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন অ্যাড্রিয়ান মার্টিনেজ। মার্টিনেজ গত বছর নিউ ইয়র্ক জেটসের হয়ে প্র্যাকটিস স্কোয়াডে ছিলেন।
খেলায় জয় পাওয়ার পর জোনস বলেন, ‘অনেক কিছুই ঘটেছে, তবে আমি ভালো অনুভব করছি।
কিছু সমস্যা ছিল, কিন্তু আমি খেলতে পেরেছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি নিজেকে রক্ষা করতে পারি, তাহলে আমার কাজ হলো মাঠে থাকা।’
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস