ট্রেনে কোকেন? ম্যাক্রঁর বিরুদ্ধে ওঠা বিস্ফোরক অভিযোগ, যা জানলে চমকে যাবেন!

ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের কিয়েভে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে একটি ট্রেনে সফরের সময় তার বিরুদ্ধে মাদক নেওয়ার গুজব ছড়িয়েছে। প্রেসিডেন্টের কার্যালয় দ্রুত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং একে ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করেছে।

ট্রেনে ভ্রমণের সময় তোলা একটি ভিডিওর সূত্র ধরে এই গুঞ্জনের সূত্রপাত হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, ম্যাক্রঁ জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিয়েডরিশ মের্জ এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমারের সঙ্গে বসে আছেন। সেই সময় তিনি একটি সাদা রঙের ছোট বস্তু সরিয়ে দেন।

প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ওই বস্তুটি আসলে একটি টিস্যু ছিল।

তবে রাশিয়ার সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা দ্রুত এই গুজবটি ছড়িয়ে দেয়। এমনকি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাও এই ভিডিওটি শেয়ার করে লেখেন, “এটা অনেকটা একটা কৌতুকের মতো: একজন ফরাসি, একজন ব্রিটিশ এবং একজন জার্মান ট্রেনে উঠল – এবং তারা মাদক নিলো।”

এই গুজব শুধু রাশিয়ায় সীমাবদ্ধ থাকেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারকারীরা এর বিস্তার ঘটায়। তারা দাবি করে, নেতাদের টেবিলে সাদা পাউডার ছিল এবং মাদক নেওয়ার জন্য চামচ ব্যবহার করা হয়েছিল।

১১ই মে, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় (এলিসি প্রাসাদ)-এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে ফ্রান্সের “শত্রুদের” বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়।

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, ম্যাক্রঁর পাশে থাকা সাদা বস্তু আসলে একটি ব্যবহৃত টিস্যু ছিল। এলিসি প্রাসাদ থেকে আরও বলা হয়, “যখন ইউরোপীয় ঐক্য সুবিধাজনক হয় না, তখন ভুল তথ্য এতদূর যায় যে একটি সাধারণ টিস্যুকে মাদকের মতো দেখায়। এই মিথ্যা খবর ফ্রান্সের শত্রু দেশ ও দেশের অভ্যন্তরে উভয় স্থানেই ছড়ানো হচ্ছে। আমাদের এই ধরনের অপপ্রচার সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।”

ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের একটি শাখা, সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিসইনফরমেশনও এই গুজবের নিন্দা করেছে। তারা বলেছে, “রাশিয়ান প্রচার মাধ্যম আবারও বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে, ইউরোপীয় নেতাদের সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে।”

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, অনেকে বলছেন, তথ্যের সত্যতা যাচাই না করে সামাজিক মাধ্যমে কোনো খবর শেয়ার করা উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁ কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন।

তাঁদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *