মাদাগাস্কারে অভ্যুত্থানের চেষ্টা: রাষ্ট্রপতি সতর্ক!

মাদাগাস্কারে অভ্যুত্থানের একটি প্রচেষ্টা চলছে বলে সতর্ক করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। রবিবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

যদিও বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি, তবে জানানো হয়েছে যে, গত মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কিছু সেনা সদস্য যোগ দেওয়ার পরই এমনটা হয়েছে।

জানা গেছে, এলিট সৈন্য ইউনিট ক্যাপসাতের সদস্যরা, যারা ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার ক্ষমতা দখলে সহায়তা করেছিল, তারাও সেনাদের প্রতি বিদ্রোহ ঘোষণা করে বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করার আহ্বান জানাচ্ছে।

মূলত, গত ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ কর্মসূচিটি রাজোয়েলিনার শাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে, যা তিনি ২০২৩ সালে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোকাবেলা করছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রবিবার ক্যাপসাত ব্যারাকের দিকে যাওয়ার পথে গুলিবর্ষণে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে সংঘর্ষ চলছে এমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জন নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। যদিও মাদাগাস্কার সরকার এই সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে।

প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনা বলেছেন, বিক্ষোভে ১২ জন নিহত হয়েছে।

বিক্ষোভকারীরা শুরুতে জল এবং বিদ্যুতের অভাবের প্রতিবাদ জানালেও, পরে তা প্রেসিডেন্ট রাজোয়েলিনার পদত্যাগ, বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংসতার জন্য ক্ষমা চাওয়া, সেইসঙ্গে সিনেট ও নির্বাচন কমিশন ভেঙে দেওয়ার দাবিতে রূপ নেয়।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে ক্যাপসাতের সেনাদের “জনগণকে সমর্থন করার” আহ্বান জানাতে দেখা গেছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক সেনা সদস্য ব্যারা‌ক থেকে বের হয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে রাজধানী আন্তানানারিভোর ১৩ই মে স্কয়ারে যান।

উল্লেখ্য, রাজনৈতিক অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত এই স্থানটিতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এবং বিক্ষোভের সময় সেখানে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ নাগরিকদের প্রতি আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন এবং শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *