ম্যাডেলিন ম্যাকক্যান: চাঞ্চল্যকর! হার্ড ড্রাইভে যা পাওয়া গেল, শুনলে শিউরে উঠবেন!

ম্যাডেলিন ম্যাকক্যান: জার্মানীর সন্দেহভাজন ব্যক্তির হার্ড ড্রাইভে ‘ভয়ঙ্কর’ বার্তা।

বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ম্যাডেলিন ম্যাকক্যান অপহরণ মামলার প্রধান সন্দেহভাজন ক্রিশ্চিয়ান ব্রুয়েকনারের বিরুদ্ধে নতুন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৬ সালে ব্রুয়েকনারের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা একটি হার্ড ড্রাইভে পাওয়া গেছে কিছু ‘ভয়ঙ্কর’ বার্তা এবং লেখা।

সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য সান’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হার্ড ড্রাইভে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ম্যাডেলিনকে অপহরণের পরিকল্পনা সম্পর্কে লিখেছিলেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, তিনি “ছোট কিছু ধরতে চান এবং দিনের পর দিন সেটিকে ব্যবহার করতে চান।”

এছাড়াও, ব্রুয়েকনারের লেখা কিছু অংশে এক তরুণী এবং তার মাকে একটি প্রি-স্কুলের বাইরে মাদকদ্রব্য খাইয়ে, মেয়েটির ওপর যৌন নির্যাতনের ফ্যান্টাসি তৈরির বর্ণনা ছিল।

জার্মান তদন্তকারীরা আরও ৭5 টি কিশোরী মেয়েদের সাঁতারের পোশাক এবং শিশু নির্যাতনের ছবিও উদ্ধার করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, হার্ড ড্রাইভে থাকা তথ্য থেকে পুলিশ ধারণা করছে, ম্যাডেলিনের মৃত্যু হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে পর্তুগালের প্রাইয়া দা লুজে ছুটি কাটানোর সময় ৩ বছর বয়সী ম্যাডেলিন নিখোঁজ হয়।

ঘটনার সময় তার বাবা-মা, কেট এবং গ্যারি ম্যাকক্যান, তাদের যমজ সন্তানের দেখাশোনা করার জন্য তাকে অ্যাপার্টমেন্টে রেখে, কাছেই একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন।

তদন্তকারীরা ব্রুয়েকনারকে ম্যাডেলিনের অপহরণ ও হত্যার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

বর্তমানে, ব্রুয়েকনার অন্য একটি ধর্ষণ মামলায় কারাবন্দী রয়েছে।

এর আগে, ১৯৯৩ সালে শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

২০১৭ সালে তাকে পর্তুগাল থেকে জার্মানিতে আনা হয় এবং তিনি সেখানে ১৭ মাস কারাভোগ করেন।

পরে, ২০০৫ সালে এক ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে ধর্ষণের দায়ে তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ধারণা করা হচ্ছে, তিনি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেতে পারেন।

২০১৬ সালে ব্রুয়েকনারের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময়, তার পোষা কুকুরের নিচে পুঁতে রাখা হার্ড ড্রাইভটি উদ্ধার করা হয়েছিল।

তদন্তকারীরা এটিকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *