মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী একজন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। মাহমুদ খলিল নামের ওই শিক্ষার্থীর আইনজীবীরা নিউ জার্সির একটি আদালতে তার মুক্তির জন্য আইনি লড়াই চালাচ্ছেন।
জানা গেছে, সিরিয়ায় জন্ম নেওয়া মাহমুদ খলিল একজন বৈধ মার্কিন বাসিন্দা এবং তিনি একজন মার্কিন নাগরিককে বিয়ে করেছেন। গত ৮ই মার্চ নিউইয়র্কের একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে লুইজিয়ানার একটি ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার শুনানির জন্য নিউ জার্সির ফেডারেল আদালত উপযুক্ত কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। মূলত, নিউইয়র্ক সিটি থেকে মামলাটি এখানে স্থানান্তরিত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, মামলাটি লুইজিয়ানায় স্থানান্তর করা হোক।
মাহমুদ খলিল গত বসন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফিলিস্তিনিপন্থী শিক্ষার্থীদের আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেছিলেন। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশ ডেকে পাঠায় এবং কিছু বিক্ষোভকারী একটি প্রশাসনিক ভবন দখল করে।
আদালতের নথি অনুযায়ী, মাহমুদ খলিলের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি। তবে, প্রশাসনের দাবি, ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানো এবং হামাসকে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাকে বিতাড়িত করতে চাইছে তারা।
মার্কিন কর্মকর্তারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, খলিল তার গ্রিন কার্ডের আবেদনে কাজের কিছু তথ্য গোপন করেছেন। এর মধ্যে ব্রিটিশ দূতাবাসে কাজ করা এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থায় ইন্টার্নশিপের বিষয়গুলোও রয়েছে।
শুধু মাহমুদ খলিলই নন, এমন আরও অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী রয়েছেন, যারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানোয় বা বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ভিসা বাতিল অথবা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গাম্বিয়ান শিক্ষার্থী, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় গবেষক, ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলের লেবানিজ চিকিৎসক, ম্যাসাচুসেটস-এর টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের তুর্কি শিক্ষার্থী এবং কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোরিয়ান ছাত্রী।
এই ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন