মাহমুদ খলিলের স্ত্রী’র চিঠি: স্বামীর সাহসিকতার গল্প ছেলেকে শোনানোর অপেক্ষায়
প্রায় এক মাস আগে মাহমুদ খলিলকে আটক করা হয়। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ চলছে, যা তাদের বিবাহিত জীবনের দীর্ঘতম বিরতি।
এই সময়ে, স্ত্রী ডা. নূর আবদাল্লা গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন, কারণ তিনি তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন।
তিনি আশঙ্কা করছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে হয়তো তার স্বামী পাশে থাকতে পারবেন না।
ডা. আবদাল্লা তার স্বামীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে বলেন, মাহমুদ তার কাছে একজন আদর্শ জীবনসঙ্গী এবং সন্তানের বাবা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে মাহমুদ খলিলের দৃঢ় অবস্থান এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে কথা বলার মানসিকতাকে তিনি বিশেষভাবে সম্মান করেন।
তিনি বলেন, মাহমুদ সত্য প্রকাশ করতে ভয় পান না, যা তাকে আরও শ্রদ্ধেয় করে তোলে।
ডা. আবদাল্লা তার স্বামীর আটকের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের তীব্র নিন্দা করেন।
তিনি মনে করেন, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা মাহমুদ খলিলের কণ্ঠরোধ করতে মিথ্যা অভিযোগের আশ্রয় নিয়েছেন।
তাদের এই কাজকে তিনি “মিথ্যা” এবং “ভিত্তিহীন” বলে উল্লেখ করেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে।
ডা. আবদাল্লা জানান, তারা ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন এবং এই চেতনা তাদের সন্তানদের মাঝেও জাগ্রত করবেন।
তিনি বলেন, তাদের ছেলে বড় হয়ে বাবার সাহসিকতা এবং ফিলিস্তিনের জন্য তার আত্মত্যাগের গল্প শুনবে।
তিনি আশা করেন, তাদের সন্তানকে যেন একই ধরনের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে না হয়।
ডা. আবদাল্লা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, মাহমুদ খলিল খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।
তিনি বলেন, স্বামীর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি তাদের পরিবারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, স্বামীর অদম্য সাহস তাদের এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সাহায্য করবে।
ডা. নূর আবদাল্লা একজন দন্ত চিকিৎসক এবং অনাগত সন্তানের মা।
তথ্য সূত্র: The Guardian