বিয়ে একটি আনন্দময় অনুষ্ঠান, যা দুটি মানুষের জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করে। বন্ধু এবং পরিবারের উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠান আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
তবে, বিয়ের পরিকল্পনা করতে গিয়ে অনেক সময় কাছের বন্ধুদের মধ্যে মনোমালিন্য দেখা যায়, যা অপ্রত্যাশিত। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে বিয়ের পরিকল্পনা নিয়ে মতবিরোধের জেরে এক তরুণী তার প্রিয় বন্ধুর বিয়ের কনে-সহচরী (Maid of Honor) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে, যিনি তার বাল্যকালের বন্ধু, ২৭ বছর বয়সী কেটের বিয়েতে কনে-সহচরী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর, তরুণীটি খুব খুশি হয়েছিলেন এবং সবকিছুতে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন।
তাদের বন্ধুত্ব ছিল গভীর, একে অপরের প্রতি ছিল আন্তরিক টান। কিন্তু বিয়ের পরিকল্পনা শুরু হওয়ার পর থেকেই যেন সবকিছু অন্যরকম হতে শুরু করে।
তরুণীর অভিযোগ, কেট একাই বিয়ের সমস্ত পরিকল্পনা করছিলেন। পোশাক নির্বাচন থেকে শুরু করে ভেন্যু ও অতিথি তালিকা— কোনো কিছুতেই তিনি তার বন্ধুর পরামর্শ নেননি। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো কেট নিজের মতো করে সবকিছু করতে চাইছে, কারণ দিনটি তার—কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তিনি বুঝতে পারেন, তাকে কার্যত কোনো বিষয়েই রাখা হচ্ছে না।
অবশেষে, যখন কেট জানান যে তিনি ব্রাইডমেডদের পোশাক নির্বাচন করেছেন এবং সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছেন, তখনও তিনি তার বন্ধুকে কিছু জানাননি। এতে তরুণীটি নিজেকে ভীষণভাবে উপেক্ষিত মনে করেন। তার মনে হয়, যেন তার কোনো গুরুত্বই নেই।
এই ঘটনার পরেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।
তিনি কেটকে জানান যে, তিনি নিজেকে অবহেলিত মনে করছেন এবং এই পরিস্থিতিতে কনে-সহচরী হিসেবে তার পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। এতে কেট বিস্মিত ও আহত হন। তিনি তরুণীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বিষয়টি নিয়ে এত মন খারাপ করার কিছু নেই।
তিনি আরও বলেন, তিনি চাননি তার কোনো কাজে বন্ধু “হস্তক্ষেপ” করুক।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। সেখানে অনেকেই তরুণীর এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেন এবং তার এই আচরণকে “স্বার্থপরতা” হিসেবে উল্লেখ করেন। তাদের মতে, বিয়ের পরিকল্পনা করার দায়িত্ব কনের এবং কনে-সহচরীর কাজ হলো তাকে সমর্থন করা।
এই ঘটনা বন্ধুত্বের গভীরতা এবং বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করে। বন্ধুত্বের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং আলোচনা ও মতামতের গুরুত্ব অপরিসীম।
তথ্য সূত্র: People
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			