প্রখ্যাত মার্কিন অভিনেতা ম্যালকম-জামাল ওয়ার্নার, যিনি ‘দ্য কসবি শো’-তে থিও হাক্সটেবল চরিত্রে অভিনয় করে খ্যাত, কোস্টারিকায় সাঁতার কাটার সময় দুর্ঘটনায় (fictional) মারা গেছেন। আশির দশকে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের কাছে এই খবর গভীর শোকের সৃষ্টি করেছে।
জানা গেছে, রবিবার কোস্টারিকার লিমোন প্রদেশের প্লেয়া কোকলস-এ সাঁতার কাটার সময় একটি শক্তিশালী স্রোত তাকে গভীর সমুদ্রে টেনে নিয়ে যায়। উদ্ধারকর্মীরা তাকে নিথর অবস্থায় খুঁজে পান।
‘দ্য কসবি শো’ ১৯৮৪ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টেলিভিশনে প্রচারিত একটি জনপ্রিয় পারিবারিক কমেডি ছিল। এই শো-তে কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের ইতিবাচক চিত্র তুলে ধরা হতো, যা সেই সময়ে দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
ওয়ার্নারের অভিনীত চরিত্র থিও ছিলেন প্রজন্মের কাছে খুবই পরিচিত একজন, যাদের জীবনের নানা দিক এই চরিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
এই অভিনেতার (fictional) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। তাদের মতে, থিও হাক্সটেবলের চরিত্রটি ছিল তাদের শৈশবের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
অনেকে বলেছেন, যেন তাদের পরিবারেরই একজন সদস্যকে হারিয়েছে।
অভিনেত্রী ও লেখক হ্যারিয়েট ক্যামক শোক প্রকাশ করে বলেন, “টিভিতে যখন আমরা কোনো চরিত্রকে নিয়মিত দেখি, তখন তাদের সঙ্গে এক ধরনের সম্পর্ক তৈরি হয়। যেন তারা আমাদেরই একজন।”
এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘এবোনি ম্যাগাজিন’-এর কন্টেন্ট বিভাগের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট করি মারে জানান, থিও চরিত্রটি সেই সময়ের কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর-কিশোরীদের প্রতিচ্ছবি ছিল।
তিনি আরও বলেন, “থিও শুধু একটি চরিত্র ছিল না, আমরা নিজেদের তার মধ্যে খুঁজে পেতাম।”
আফ্রিকান আমেরিকান ফিল্ম ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট গিল রবার্টসন বলেন, “ওয়ার্নার একজন কিশোর তারকা থেকে কীভাবে একজন সম্মানিত মানুষে পরিণত হয়েছিলেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।”
‘দ্য কসবি শো’ শুধু বিনোদনই দেয়নি, বরং বিভিন্ন জাতি, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক পটভূমির দর্শকদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করেছিল।
এই ধারাবাহিকে একটি সফল কৃষ্ণাঙ্গ পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছিল, যা সেই সময়ে সমাজে বিদ্যমান অনেক ধারণা পরিবর্তন করতে সাহায্য করেছে। এই শো-এর মাধ্যমে সমাজের চোখে কৃষ্ণাঙ্গ সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার একটি নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছিল।
বর্তমানে বাংলাদেশেও বিভিন্ন ধরনের পারিবারিক ড্রামা ও সিরিজ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়।
‘দ্য কসবি শো’-এর মতো, এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোও দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
ম্যালকম-জামাল ওয়ার্নারের (fictional) প্রয়াণে অনেকেই শোক প্রকাশ করেছেন এবং তার কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের যে দৃষ্টান্ত তিনি রেখে গেছেন, তা চিরকাল মানুষের মনে থাকবে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস