মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। অভিযুক্তের নাম জর্জ মারেস রেয়গোজা (৪৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ৪৪ বছর বয়সী কোরাল লামাস সিফুয়েন্তেসের মরদেহ মেক্সিকোর জুয়ারেজে পাওয়া গিয়েছিল।
এল পাসো পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, ২৮ মার্চ তারিখে তারা রেয়গোজাকে গ্রেফতার করে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) সিফুয়েন্তেসের মৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করে।
মেক্সিকান তদন্তকারীরা মার্কিন কর্তৃপক্ষকে জানায় যে, তাদের ধারণা, সিফুয়েন্তেসকে সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রেই হত্যা করা হয়েছে।
তদন্তকারীরা জানান, রেয়গোজা এবং সিফুয়েন্তেস বিবাহিত ছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। রেয়গোজা নিউ মেক্সিকোর হবস-এ থাকতেন, আর সিফুয়েন্তেস তাদের সন্তানদের নিয়ে এল পাসোতে বসবাস করতেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, রেয়গোজা একটি গুদামে কাজ করতেন এবং সপ্তাহান্তে পরিবারকে দেখতে এল পাসোতে আসতেন।
জানা যায়, গত ১৮ মার্চ তিনি জানতে পারেন যে, তার স্ত্রী গত দুই বছর ধরে অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। এরপর ২১ মার্চ তারিখে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন।
পুলিশের কাছে রেয়গোজা স্বীকার করেছেন যে, তিনি রাগে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর তিনি স্ত্রীর পোশাক পরিয়ে তার গাড়ির পেছনের আসনে মরদেহ রেখে দেন।
এরপর তিনি এল পাসোতে একটি চাকরির সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরে, ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রেয়গোজা সিফুয়েন্তেসের গাড়ি নিয়ে ইসলেটা পোর্ট অফ এন্ট্রি দিয়ে জুয়ারেজে প্রবেশ করেন এবং একই গাড়িতে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসেন।
রেয়গোজা স্বীকার করেছেন, তিনি স্ত্রীর মরদেহ সেখানে ফেলে আসেন। এছাড়াও, তিনি স্ত্রীর ফোন ও স্মার্টওয়াচ নষ্ট করে ফেলেন।
মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস জানিয়েছে, সিফুয়েন্তেসের মৃত্যু শ্বাসরোধের কারণে হয়েছে। ২২ মার্চ জুয়ারেজের পেরিফেরিকো ক্যামিনো রিয়েল হাইওয়েতে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
এল পাসো পুলিশ বিভাগ জানায়, মেক্সিকান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর তারা সিফুয়েন্তেসের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করে।
রেয়গোজা নাকি একটি সংবাদ প্রকাশের পর স্ত্রীর মরদেহ সনাক্ত করতে এগিয়ে আসেন। এই ঘটনার তদন্ত এখনো চলছে বলে এল পাসো পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল