ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সহ বেশ কয়েকটি শীর্ষস্থানীয় মহিলা ফুটবল দল, আসন্ন ‘ওয়ার্ল্ড সেভেনস ফুটবল’ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছে। পর্তুগালের এস্টোরিলে আগামী ২১ থেকে ২৩শে মে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
বায়ার্ন মিউনিখ, আয়াক্স এবং বেনফিকার মতো দলগুলোও এতে খেলবে। টুর্নামেন্টের পুরস্কার মূল্য প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ কোটি টাকার সমান।
এই নতুন প্রতিযোগিতাটি মূলত সাত-এ-সাইড ফর্ম্যাটে খেলা হবে। খেলার গতি এবং আকর্ষণ বাড়ানোর দিকে আয়োজকদের বিশেষ নজর রয়েছে।
মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাব দল অংশ নেবে। পরবর্তীতে, উত্তর আমেরিকাতেও এই ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে অন্যান্য মহাদেশেও এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে এবং বছরে সর্বোচ্চ পাঁচটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে।
যদিও এখনো পর্যন্ত মে মাসের টুর্নামেন্টের জন্য অংশগ্রহণকারী দলগুলোর তালিকা চূড়ান্ত হয়নি, তবে জানা গেছে, আর্সেনাল, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটি’র মতো দলগুলোও এতে অংশগ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেছে।
আয়াক্সের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর অ্যালেক্স ক্রোস বলেছেন, “আমাদের ক্লাবের জন্য নতুনত্ব সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ।
‘ওয়ার্ল্ড সেভেনস ফুটবল’ আমাদের খেলোয়াড়দের তাদের সৃজনশীলতা এবং দক্ষতা প্রদর্শনের চমৎকার সুযোগ করে দেবে।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রধান কোচ মার্ক স্কিনারও এই টুর্নামেন্ট নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “মহিলা ফুটবলে নতুন কিছু শুরু করার জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।
প্রতিযোগিতাটি ডিএজেডএন (DAZN) নামক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
প্রতিটি ম্যাচে দলগুলো ১৪ জন খেলোয়াড়ের একটি দল তৈরি করতে পারবে এবং খেলোয়াড় পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে।
টুর্নামেন্টের জন্য দলগুলো সর্বোচ্চ ২৫ জন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে, যাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেওয়া যায়।
প্রতিটি ম্যাচ ৩০ মিনিটের হবে, যেখানে ১৫ মিনিটের দুটি হাফ থাকবে।
এই টুর্নামেন্টের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজসেবী জেনিফার ম্যাকেসি-র বিনিয়োগের মাধ্যমে পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১০০০ কোটি টাকার বেশি) বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তবে, ইতিমধ্যেই ব্যস্ত ফুটবল সূচির কারণে অনেকেই এই টুর্নামেন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবলার ও ‘ওয়ার্ল্ড সেভেনস ফুটবল’-এর অ্যাম্বাসেডর অনিতা অসান্তে খেলোয়াড়দের সুস্থতা এবং সুযোগের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা খেলোয়াড়দের সুযোগ এবং তাদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রেখেই সবকিছু করার চেষ্টা করছি।
খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং খেলার সুযোগের বিষয়টি মাথায় রেখে দল নির্বাচন করা হবে।
ছোট আকারের এই টুর্নামেন্টটি খেলোয়াড়দের জন্য একটি উপভোগ্য অভিজ্ঞতা হবে বলেই তিনি মনে করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান