ম্যানহাটনে ভয়ংকর হামলা: স্তম্ভিত সবাই, বন্দুকধারীর আসল পরিচয়!

নিউ ইয়র্কের ব্যস্ততম এলাকা ম্যানহাটনের একটি বহুতল ভবনে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যায় পার্ক অ্যাভিনিউয়ের এই ঘটনায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন, এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন একজন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে নিউ ইয়র্ক ও বাংলাদেশের কমিউনিটিতে।

স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায়, ২৭ বছর বয়সী শেন ডেভন তামুরা নামের এক ব্যক্তি একটি এম-ফোর অ্যাসল্ট রাইফেল নিয়ে বহুতল ভবনটিতে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। হামলাকারী লাস ভেগাসের বাসিন্দা ছিল এবং ঘটনার কয়েক দিন আগে সে নিউ ইয়র্কে আসে।

গুলি চালানোর সময়, ভবনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দিদারুল ইসলাম ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী, এবং তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

তাঁর বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। তিনি দুই সন্তানের জনক এবং তাঁর স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের প্রত্যাশা করছিলেন।

ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, হামলাকারী ভবনের লবিতে গুলি চালানোর পর, লিফটে করে ৩৩ তলার অফিসে যায়, যেখানে সে আরও একজনকে হত্যা করে এবং পরে নিজের বুকে গুলি করে আত্মহত্যা করে।

এই ভবনে ব্ল্যাকস্টোন এবং ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) মতো বড় কর্পোরেট অফিস রয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে, সম্ভবত এনএফএলের প্রতি কোনো ক্ষোভ থেকেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

নিহত পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এবং গভর্নর ক্যাথি হুকুলসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। মেয়র অ্যাডামস জানান, দিদারুল ছিলেন একজন ‘বীর’। গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি নিহত পুলিশ অফিসারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

ঘটনার পর হাসপাতালে দিদারুলের মরদেহ নেওয়ার সময়, পুলিশ সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করেন, যা সকলের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

দিদারুল ইসলামের মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার বা নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য নয়, পুরো বাংলাদেশের মানুষের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *