মারাদোনার মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে গঠিত মেডিকেল টিমের বিচার বর্তমানে বুয়েনস আইরেসে চলছে। ফুটবল ইতিহাসের কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনার মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে গুরুতর অভিযোগ।
সম্প্রতি আদালতে তার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করা হয়, যেখানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে অন্তত ১২ ঘণ্টা তীব্র যন্ত্রনায় ভুগেছিলেন মারাদোনা।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে, ফরেনসিক মেডিসিনের পরিচালক কার্লোস ক্যাসিনেলি জানান, মারাদোনার হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চর্বি জমে গিয়েছিল এবং জমাট রক্ত ছিল, যা তার চরম কষ্টের ইঙ্গিত দেয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, হৃদযন্ত্রের দুর্বলতার কারণে ফুসফুসে পানি জমে মারাদোনার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকদের গাফিলতির কারণেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন মারাদোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোল্ডো লুক এবং মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্টিনা কোসাচভ। অভিযোগ, তারা মারাদোনার যথাযথ চিকিৎসা করেননি।
আদালতে শুনানিতে উঠে আসে, মারাদোনার মুখ ও পেটে অতিরিক্ত ফোলাভাব ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মারাদোনা যে ওষুধ সেবন করতেন, সেটিও তার মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘পরোক্ষভাবে হত্যার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের আট থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
২০২০ সালে বুয়েনস আইরেসের একটি আবাসিক কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সে মারাদোনার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে তিনি মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন।
তদন্তকারীরা বলছেন, মারাদোনার স্বাস্থ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পেছনে তার বাড়িতে নেওয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুতর ত্রুটি ছিল। এই মামলার শুনানি এখনো চলছে এবং এতে প্রায় ১২০ জনেরও বেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
বিচার প্রক্রিয়াটি সম্ভবত জুলাই মাস পর্যন্ত চলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা