আর্জেন্টিনার চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্কো বার্গারের সিনেমাগুলো পুরুষদের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং সমাজের কিছু লুকানো দিক নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়। তাঁর কাজ প্রায়শই পুরুষদের মধ্যেকার আকর্ষণ, সম্পর্কের জটিলতা, এবং সমাজের চাপ—এই বিষয়গুলো তুলে ধরে।
বার্গারের সিনেমাগুলো, বিশেষ করে তাঁর সাম্প্রতিক ছবি ‘দ্য অ্যাস্ট্রোনট লাভার্স’, দর্শকদের পরিচিত জগৎ থেকে ভিন্ন এক দৃষ্টিকোণ দেয়।
বার্গারের সিনেমাগুলোর মূল বিষয়বস্তু হল, পুরুষদের মধ্যেকার সম্পর্ক এবং তাদের লুকানো আবেগ। তাঁর ছবিতে প্রায়ই দেখা যায়, গ্রীষ্মের অবকাশ যাপনের জন্য একটি বাড়িতে কিছু সুদর্শন তরুণের সমাগম হয়েছে।
সেখানে বন্ধুত্বের আড়ালে থাকা আকর্ষণ, কৌতুক এবং সমাজের কিছু অচেনা দিক দর্শকদের সামনে উন্মোচন করা হয়। বার্গারের মতে, গ্রীষ্মের ছুটি সম্পর্কের গভীরতা এবং পুরুষদের মধ্যেকার আকাঙ্ক্ষাগুলো তুলে ধরার জন্য উপযুক্ত সময়।
তাঁর ছবিগুলো সমাজের প্রচলিত ধারণাগুলোর বাইরে গিয়ে ভিন্ন চিন্তা করতে উৎসাহিত করে। উদাহরণস্বরূপ, ‘দ্য অ্যাস্ট্রোনট লাভার্স’ ছবিতে দেখা যায়, দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা, যা দর্শকদের প্রচলিত সম্পর্কের ধারণা থেকে দূরে নিয়ে যায়।
বার্গারের মতে, আমাদের সমাজ নারী এবং পুরুষের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট ধারণা তৈরি করেছে। তাঁর সিনেমা সেই বাঁধাধরা ধারণাকে ভেঙে দেয় এবং সম্পর্কের অন্য দিগন্ত উন্মোচন করে।
বার্গার তাঁর সিনেমায় কমেডির ব্যবহার করেন, যা দর্শকদের কাছে বিষয়গুলো সহজ করে তোলে। তিনি মনে করেন, কৌতুক একটি শক্তিশালী মাধ্যম, যা কঠিন বিষয়গুলো সহজে তুলে ধরতে সাহায্য করে।
তাঁর ছবিগুলো সমাজের চোখে কিছুটা অপ্রত্যাশিত হলেও, দর্শকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে।
তবে, বার্গার মনে করেন, চলচ্চিত্র জগতে এখনও কিছু সমস্যা বিদ্যমান। বিশেষ করে, সমকামিতা বিষয়ক সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে অর্থ জোগাড় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেক প্রযোজক এই ধরনের ছবি তৈরি করতে দ্বিধা বোধ করেন। বার্গারের মতে, তাঁর সিনেমাগুলো তৈরি করতে কম বাজেট লাগে, যেখানে অন্য পরিচালকদের তুলনায় তিনি অনেক কম সুযোগ পান।
বার্গারের সিনেমায় সমাজের কিছু কঠোর নিয়ম এবং মানুষের ভেতরের আকাঙ্ক্ষাগুলো নতুনভাবে উপস্থাপন করা হয়। তাঁর কাজ পুরুষদের সম্পর্কের জটিলতা এবং সমাজের চাপ নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখায়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান