মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে এই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রায়ই অভিযোগ করত, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালিত হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র দপ্তরের পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বেশ কিছু বিদেশি মিশন বন্ধ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, কর্মী সংখ্যা কমানো এবং উদারনৈতিক মূল্যবোধ প্রসারের জন্য নিবেদিত দপ্তরগুলোর সংখ্যাও কমানো হবে।
এই দপ্তরগুলোকে আঞ্চলিক ব্যুরোর সঙ্গে একত্র করা হবে। রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমান আমলাতান্ত্রিক কাঠামো আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের চেয়ে চরমপন্থী রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি বেশি অনুগত।
তাই আমরা পররাষ্ট্র দপ্তরকে একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী করে তুলতে একটি ব্যাপক পুনর্গঠন পরিকল্পনা ঘোষণা করছি।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, “এই পদক্ষেপ দপ্তরকে তৃণমূল পর্যায় থেকে শক্তিশালী করবে, ব্যুরো থেকে দূতাবাস পর্যন্ত এর প্রভাব পড়বে।
আঞ্চলিক কার্যাবলী একত্রীকরণের মাধ্যমে কার্যকারিতা বাড়ানো হবে, অপ্রয়োজনীয় দপ্তরগুলো তুলে দেওয়া হবে এবং আমেরিকার মূল জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন প্রোগ্রামগুলো বাতিল করা হবে।”
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই পুনর্গঠন পরিকল্পনা কিভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বিশেষ করে এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান