বিখ্যাত গ্র্যামি জয়ী সঙ্গীত শিল্পী ম্যারেন মরিস সম্প্রতি তার নতুন অ্যালবাম ‘ড্রিমসিকল’-এর বিশ্ব সফর শুরু করতে যাচ্ছেন। এই উপলক্ষে তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন এবং সঙ্গীতের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন।
৩৫ বছর বয়সী এই সঙ্গীত তারকার আলোচনাগুলো শুনলে মনে হয় যেন একজন সফল শিল্পী হিসেবে তিনি কতটা সাধারণ জীবন যাপন করেন।
কিছুদিন আগে লস অ্যাঞ্জেলেসে এক রেস্টুরেন্টে প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন ম্যারেন মরিস। সেখানে এক ভক্তের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয়। সেই ভক্ত শুধু তার গান পছন্দ করেন বলেই জানান, কোনো ছবি তোলার আবদার করেননি। মরিস জানান, ভক্তের এমন আচরণে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন।
বর্তমানে তিনি তার নতুন অ্যালবাম ‘ড্রিমসিকল’-এর প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অ্যালবামটি গত ৯ই মে মুক্তি পেয়েছে। খুব শীঘ্রই তিনি তার ‘ড্রিমসিকল ওয়ার্ল্ড ট্যুর’-এ বের হবেন, যেখানে সারা বিশ্বের তার ভক্তদের সঙ্গে মিলিত হবেন।
নতুন অ্যালবামের পাশাপাশি, ম্যারেন তার জীবনের আরও কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় তিনি একটি ট্যাটু করিয়েছেন। একজন বিখ্যাত ট্যাটু শিল্পী লরেন উইনজারের কাছ থেকে তিনি একটি মারটিনির ট্যাটু করিয়েছেন, যেখানে দুটি জলপাই দেখা যায়।
গান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, বর্তমানে টি-পেইনের ‘সাইক্লোন’ গানটি তার মাথার মধ্যে ঘুরছে। কোচেলা উৎসবে টি-পেইনের পরিবেশনা দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। এছাড়াও, মা হওয়ার কারণে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার বিষয়েও তিনি কথা বলেন।
ছেলের সঙ্গে কাটানো একটি মজার মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে ম্যারেন জানান, একবার তিনি একটি ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে তার ছেলে হেইসকে জানান। তখন হেইস নামের পাঁচ বছর বয়সী ছেলেটি বলেছিল, ‘হুঁহ, এটা তো বেশ বোরিং!’
একজন শিল্পী হিসেবে একদিকে যেমন তার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তেমনি তিনি তার ব্যক্তিগত জীবনকেও সমান গুরুত্ব দেন। তার এই সাক্ষাৎকারে ফুটে উঠেছে একজন শিল্পী ও মা হিসেবে তার জীবনের প্রতিচ্ছবি।
তথ্য সূত্র: পিপল