বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ম্যারেন মরিস এবং তাঁর প্রাক্তন স্বামী রায়ান হার্ড-এর মধ্যে বিচ্ছেদ হলেও, তাঁরা তাঁদের ছেলেকে একসঙ্গে বড় করছেন। তাঁদের এই সহ-অভিভাবকত্বের (co-parenting) একটি সুন্দর চিত্র এখন সকলের সামনে।
জানা গেছে, এই প্রাক্তন দম্পতি এখন একই শহরে – আমেরিকার ন্যাশভিলে থাকেন, এবং তাঁদের বাড়ি একে অপরের থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।
৩৫ বছর বয়সী ম্যারেন এবং ৩৮ বছর বয়সী রায়ান তাঁদের ৫ বছর বয়সী ছেলে হেইস-এর দেখাশোনার জন্য এই ব্যবস্থা করেছেন।
এর ফলে, ছেলেকে বাবা-মায়ের কাছে আনা-নেওয়া করাটা অনেক সহজ হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁরা প্রায়ই একসঙ্গে পারিবারিক ডিনারে মিলিত হন।
ম্যারেন জানিয়েছেন, বিচ্ছেদের পরেও তাঁরা তাঁদের ছেলের জন্য একটি স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করেন, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার আগে, ম্যারেন এবং রায়ান ২০১৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।
তাঁদের সম্পর্কের শুরুটা হয় ২০১৩ সালে, যখন তাঁরা দু’জনে মিলে টিমি ম্যাকগ্রোর জন্য ‘লাস্ট টার্ন হোম’ গানটি লিখেছিলেন।
তাঁদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটলেও, তাঁরা তাঁদের সন্তানের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।
ম্যারেন জানিয়েছেন, তাঁরা দু’জনেই চান, হেইস যেন বাবা-মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়।
বিচ্ছেদের পর নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও কথা বলেছেন ম্যারেন। তিনি বলেন, এখন তিনি নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছেন এবং নিজের স্থানটিকে উপভোগ করছেন।
তিনি মজা করে আরও বলেন, ভবিষ্যতে যদি তিনি কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, তবে তিনি সম্ভবত তাঁর পাশে থাকার জন্য বলবেন, “তুমি আমার পাশেই থাকতে পারো।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সহ-অভিভাবকত্বের ধারণা বাংলাদেশে এখনো সেভাবে প্রচলিত নয়।
তবে ম্যারেন এবং রায়ানের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে অনেকের কাছে একটি উদাহরণ হতে পারে। তাঁরা প্রমাণ করেছেন, বিচ্ছেদ মানেই সম্পর্কের সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ নয়, বরং সন্তানের মঙ্গলের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব।
তথ্য সূত্র: People