মার্গো রবির নতুন প্রযোজনা সংস্থার অফিসে ‘বার্বি’ সিনেমার স্মৃতি, কিভাবে সাজানো হল?
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী মার্গো রবি। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এখন প্রযোজনাতেও নাম লিখিয়েছেন এবং সফলও বটে। সম্প্রতি, লস অ্যাঞ্জেলেসে তাঁর প্রযোজনা সংস্থা, লাকিচ্যাপ এন্টারটেইনমেন্টের অফিসের অন্দরসজ্জা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই অফিসের অন্দরসজ্জায় রয়েছে ‘বার্বি’ সিনেমার একটি বিশেষ স্মৃতিচিহ্ন।
অভিনেত্রী তাঁর অফিসের অন্দরসজ্জা নিয়ে আর্কিটেকচারাল ডাইজেস্টকে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে তিনি জানান, তাঁর অফিসের কেন্দ্রস্থলে রাখা হয়েছে উজ্জ্বল গোলাপি রঙের চেয়ার। এই চেয়ারগুলো আসলে ‘বার্বি’ সিনেমায় ম্যাটেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর অফিসের দৃশ্যের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
মার্গো রবির কথায়, “সিনেমা শেষে আমি এই চেয়ারগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ চেয়ারগুলো বেশ দামি ছিল।” পরে তিনি লন্ডনের ইন্টেরিয়র ডিজাইনার স্কারলেট হেসিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্কারলেট পুরনো চেয়ারগুলোর কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাতে নতুন করে কাপড় লাগিয়ে দেন। বর্তমানে চেয়ারগুলোতে মরিচা রঙের চেকযুক্ত কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে, যা অফিসের মধ্য-শতাব্দীর আধুনিক ঘরানার সঙ্গে মানানসই।
নিজের অফিসের বিষয়ে মার্গো বলেন, “আমার অফিসের আকারটা একটু অদ্ভুত ছিল, তাই কেউই এই ঘরটি নিজের অফিস হিসেবে নিতে রাজি ছিল না। তবে স্কারলেট এই চ্যালেঞ্জটি গ্রহণ করেন এবং অসাধারণভাবে ঘরটি সাজিয়েছেন।” মার্গোর অফিসের পেছনের দেয়ালে রয়েছে হালকা গোলাপি রঙের পর্দা, যা শ্বেতফলকগুলো ঢেকে রেখেছে। সম্ভবত, এটিও তাঁর ‘ম্যাটেল’ চরিত্রের প্রতিচ্ছবি।
মার্গোর ব্যক্তিগত অফিসের অন্যান্য আকর্ষণীয় উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি লম্বাটে বাতি, প্যারিস থেকে কেনা সোনালী রঙের একটি বাতি এবং একটি আরামদায়ক সাদা সোফা।
অফিসটি মার্গো রবি তাঁর স্বামী টম অ্যালে এবং ব্যবসার সহযোগী জোসি ম্যাকনামারার সঙ্গে শেয়ার করেন। সাক্ষাৎকারে মার্গো জানান, তাঁরা অফিসের কোথাও তাঁদের পুরস্কারগুলো প্রদর্শন করতে চাননি। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আমরা একটু লজ্জিত ছিলাম, তাই বইয়ের মাঝে পুরস্কারগুলো লুকিয়ে রেখেছি। বলতে পারেন, এটা আমাদের বিনয়ী হওয়ার একটা কৌশল।”
মার্গো রবির পরবর্তী সিনেমা ‘এ বিগ বোল্ড বিউটিফুল জার্নি’ আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল