রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম-এ মনোনয়ন: মারিয়া কেরির প্রতিক্রিয়া
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সঙ্গীত শিল্পী মারিয়া কেরি সম্ভবত এবার যুক্ত হতে চলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘রক অ্যান্ড রোল হল অফ ফেম’-এর সম্মানজনক তালিকায়।
সম্প্রতি এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত তিনি, তবে এখনই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে নারাজ। খবরটি পাওয়ার পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মনোনয়ন পাওয়াটা তাঁর জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়।
মারিয়া কেরি বলেন, “আমি এখনো জানি না যে আমি জিতব কিনা, তাই এখনই খুব বেশি উত্তেজিত হতে চাই না। তবে, এটা অবশ্যই একটা বিশাল সম্মান।
সত্যি বলতে, আমি এটা আশা করিনি।”
উল্লেখ্য, এর আগে তিনি একবার এই সম্মানের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হননি।
এবারও তিনি এই মনোনয়ন পেয়েছেন এবং তাঁর সঙ্গে এই তালিকায় আরও আছেন সিন্ডি লুপার, বিলি আইডল, জো ককার, চাবি চেকার, আউটকাস্ট ও ওয়েসিসের মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা।
সঙ্গীত জগতে বিভিন্ন ধরনের গানের উন্মুক্ততা প্রসঙ্গে মারিয়া কেরি জানান, এখনকার শ্রোতারা আগের চেয়ে অনেক বেশি উদার।
তিনি নিজেও মাঝে মাঝে নিজেকে একজন ‘রক স্টার’-এর মতো অনুভব করেন।
যেসব শিল্পী তাঁদের প্রথম বাণিজ্যিক রেকর্ডিং প্রকাশের ২৫ বছর পর এই মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য হন, মারিয়ার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯০ সালে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জানা যাবে কারা এই বছর হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন। লস অ্যাঞ্জেলেসে এই বছর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মানিত করা হবে।
সাক্ষাৎকারে মারিয়া কেরি তাঁর নব্বইয়ের দশকের একটি ‘গ্রাঞ্জ’ অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছের কথাও জানান। সেই অ্যালবামের গানগুলোর জন্য তাঁর নাকি অনেক ভিডিও তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।
এছাড়াও, তাঁর ১৩ বছর বয়সী যমজ সন্তান, যারা গত বছর ক্রিসমাস ট্যুরে তাঁর সঙ্গে মঞ্চে পারফর্ম করেছিল, তাদের সঙ্গেও নতুন গান করার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
নতুন গানের প্রসঙ্গে মারিয়া জানান, তিনি এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবেন না, তবে নতুন কিছু কাজ করছেন।
সম্প্রতি, ২০২৩ সালের আইহার্ট রেডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে ‘আইকন অ্যাওয়ার্ড’ জেতেন মারিয়া কেরি। পুরস্কার গ্রহণের সময় তিনি তাঁর প্রয়াত মা প্যাট্রিসিয়া কেরিকে উৎসর্গ করেন।
তিনি বলেন, “সেন্ট প্যাট্রিক’স ডে-তে আমি আমার মা প্যাট্রিসিয়া কেরিকে সম্মান জানাতে চাই, যিনি আমাকে সঙ্গীতের এই অমূল্য উপহার দিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “ছোটবেলায় আমি রেডিওতে আমার প্রিয় শিল্পীদের গান শুনে নিজেকেও শিল্পী হিসেবে কল্পনা করতাম।
এখনো যখন আমার গান রেডিওতে বাজে, তখন আমি একইরকম আনন্দ পাই। এটা সবসময়ই একটা জাদুকরী অনুভূতি।”
তথ্য সূত্র: পিপল