গাঁজা দিবস: ইস্টার ও ফাসোভারের সাথে ৪/২০ এর মিল, জেনে নিন!

আজকাল বিশ্বে গাঁজা সেবনের একটি বিশেষ দিন হিসাবে “৪/২০” তারিখটি পরিচিত। প্রতি বছর ২০শে এপ্রিল তারিখে এই দিনটি উদযাপন করা হয়, যা গাঁজা সেবনকারীদের কাছে একটি উৎসবের মতো।

এবার এই বিশেষ দিনটি পড়েছে ইস্টার সানডে এবং ইহুদিদের পাসওভারের শেষ দিনের সঙ্গে। এই কারণে অনেকে অভিনব উপায়ে দিনটি উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছেন।

যেমন, লস অ্যাঞ্জেলেসে “ইস্টার নাগের সন্ধান” এবং নিউইয়র্কে кошের-স্টাইলের টিএইচসি সমৃদ্ধ খাবার পরিবেশন করা হবে। এছাড়া, পোর্টল্যান্ডে “ব্লেজ অ্যান্ড প্রেইজ” নামের একটি ড্র্যাগ ব্রাঞ্চের আয়োজন করা হয়েছে।

আসলে, “৪/২০”-এর ধারণাটি কীভাবে এল, তা নিয়ে রয়েছে নানা মত। অনেকের মতে, এটি পুলিশের একটি কোড অথবা বব ডিলানের “রেনি ডে ওমেন নং ১২ ও ৩৫” গান থেকে এসেছে।

তবে প্রচলিত ধারণা হলো, ১৯৭০-এর দশকে ক্যালিফোর্নিয়ার সান রাফায়েল হাই স্কুলের কয়েকজন ছাত্র “ওয়াল্ডোস” নামে পরিচিত একটি দল তৈরি করে। তারা একটি গোপন স্থানে গাঁজা গাছের সন্ধান করত এবং প্রতি বছর বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে মিলিত হয়ে গাঁজা সেবন করত।

সেই থেকেই “৪/২০” শব্দটি তাদের মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে যায়।

“ওয়াল্ডোস”-এর বন্ধুদের মধ্যে একজন ছিলেন গ্রেটফুল ডেড ব্যান্ডের বেসিস্ট ফিল লেশের বন্ধু। এর মাধ্যমে “৪/২০”-এর ধারণাটি ব্যান্ড সার্কেলে প্রবেশ করে এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে।

নব্বইয়ের দশকে হাই টাইমস ম্যাগাজিনের একজন সাংবাদিক একটি ফ্লাইয়ার পান, যেখানে “৪/২০”-এর অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছিল। সেই থেকে “৪/২০” একটি বিশেষ দিনে পরিণত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে এখন অনেক রাজ্যে গাঁজা সেবন বৈধ। বর্তমানে, প্রায় ২৪টি রাজ্যে বিনোদনমূলক ব্যবহারের জন্য এবং ১৪টি রাজ্যে চিকিৎসার জন্য গাঁজা ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে।

তবে, ফেডারেল আইন অনুযায়ী গাঁজা এখনো অবৈধ। বিভিন্ন শহরে “৪/২০” উপলক্ষে বড় ধরনের উৎসবের আয়োজন করা হয়। ডেনভারের “মাইল হাই ৪২০ ফেস্টিভাল” এবং আটলান্টার একটি অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের সমাগম হয়।

তবে, এই বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখতে হবে। বাংলাদেশে গাঁজা সেবন, রাখা, বা বিক্রি করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।

এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র একটি আন্তর্জাতিক ঘটনার তথ্য পরিবেশন করার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে এবং এটি কোনোভাবেই গাঁজা সেবনের প্রচার বা সমর্থন করে না। মাদকদ্রব্যের ব্যবহার দেশের প্রচলিত আইনের পরিপন্থী এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার গুরুতর পরিণতি হতে পারে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *