আলোচনা: কেমন ছিল মার্লিন মনরোর জীবন? বিস্ফোরক তথ্য!

বিখ্যাত অভিনেত্রী মেরিলিন মনরোর জীবন এবং খ্যাতি, রুপালি পর্দার ঝলমলে দুনিয়ার বাইরেও যে অন্য এক জগৎ ছিল, তা নিয়ে আসছে নতুন একটি বই।

এই বইয়ে আলোকচিত্রী ইভ আর্নল্ডের সঙ্গে মনরোর বিশেষ বন্ধুত্বের অজানা গল্প তুলে ধরা হয়েছে।

বইটির নাম ‘হোন উই ওয়ার ব্রিলিয়ান্ট’, যা লিখেছেন লিন কুলেন। বইটি ২০২৩ সালের ২৬শে জানুয়ারি প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।

মেরিলিন মনরোর সঙ্গে ইভ আর্নল্ডের প্রথম দেখা হয় ১৯৫২ সালে।

শুরুতে আর্নল্ড এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করতে দ্বিধা বোধ করলেও, পরে তারা একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হন।

বইটিতে তাদের কাজের ধরন এবং বন্ধুত্বের বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। খ্যাতি পাওয়ার পরে তাদের সম্পর্ক কেমন ছিল, সে বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে।

লেখিকা লিন কুলেন জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই মেরিলিন মনরোর জীবন তাকে আকৃষ্ট করেছে।

টেলিভিশনে ‘দ্য সেভেন ইয়ার ইচ’ ছবিতে মেরিলিনকে দেখার পর, তিনি নারীজীবন সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শুরু করেন।

মেরিলিনের উজ্জ্বল উপস্থিতি তাকে সবসময় মুগ্ধ করত। আর্নল্ডের তোলা মেরিলিনের ছবিগুলো অন্যদের থেকে আলাদা ছিল।

কুলেন বলেন, আর্নল্ডের ছবিতে মেরিলিনের ভেতরের অন্য একটি রূপ ফুটে উঠেছিল, যা আগে দেখা যায়নি।

বইটিতে মেরিলিন মনরোর সঙ্গে আর্নল্ডের একটি অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের বর্ণনা রয়েছে।

বাথরুমের এক অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে তাদের দেখা হয়, যেখানে মেরিলিন আর্নল্ডকে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেন।

মেরিলিন জানান, তিনি তার ভেতরের অন্য এক দিক মানুষের সামনে তুলে ধরতে চান।

ইভ আর্নল্ড একজন ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার ছিলেন।

তিনি প্রাকৃতিক আলো ব্যবহার করে ছবি তুলতেন।

মেরিলিনের অন্যান্য ফটোগ্রাফারদের থেকে তার কাজের ধরন ছিল একেবারেই আলাদা।

মেরিলিনের জীবন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।

এই বইটি সেই আগ্রহ আরও বাড়িয়ে দেবে, কারণ এতে দেখা যাবে খ্যাতি ও সাফল্যের আড়ালে থাকা মেরিলিনকে, যিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ, বন্ধু এবং সহকর্মীর চোখে।

তথ্য সূত্র: পিপল ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *