ম্যারিন ল্য পেনের রাজনৈতিক জীবন শেষ? চরম সিদ্ধান্ত!

ফ্রান্সের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়, যেখানে ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না চরম ডানপন্থী নেতা মেরিন লে পেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল তছরূপের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত এই সিদ্ধান্ত নেয়।

এই রায়ের ফলে লে পেনের রাজনৈতিক জীবন বড় ধরনের ধাক্কা খেল, যিনি এর আগে তিনবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়েছেন।

মেরিন লে পেন, যিনি ন্যাশনাল র‍্যালি পার্টির প্রধান, বহু বছর ধরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের তহবিল থেকে অর্থ সরানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।

অভিযোগ ছিল, তিনি ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কর্মীদের বেতন দেওয়ার জন্য বরাদ্দ করা অর্থ নিজের দলের কর্মীদের বেতন হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

আদালত তাকে সরকারি পদে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়াও, চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে দুই বছর স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, এক লক্ষ ইউরোর জরিমানা করা হয়েছে।

আদালতের এই রায়ের পর লে পেনের দল ন্যাশনাল র‍্যালি-কে এখন নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

কারণ, ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে একটা বড় প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে।

দলের মধ্যে জর্ডান বারদেলাহ্-এর মতো তরুণ নেতাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।

তিনি বর্তমানে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য।

তবে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তুলনামূলকভাবে কম।

লে পেন অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি।

তবে আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, মেরিন লে পেন এর আগে তিনবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

এর মধ্যে দুবার তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বিরুদ্ধে রানার্স-আপ হয়েছিলেন।

এমনকি, গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তার দল পার্লামেন্টে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল।

এই ঘটনা ফ্রান্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।

লে পেনের অনুপস্থিতিতে ন্যাশনাল র‍্যালি দলের ভবিষ্যৎ এবং ফ্রান্সের রাজনৈতিক গতিপথ কেমন হবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *