জয়েন ম্যানসফিল্ড: মারিশকা হার্গতাইয়ের অজানা মায়ের গল্প!

মারিশকা হার্গেটি: হলিউডের কিংবদন্তী মা ও অজানা এক পিতার সন্ধানে

হলিউডের সোনালী যুগের অভিনেত্রী জেন ম্যানসফিল্ডের জীবন নিয়ে নির্মিত একটি নতুন তথ্যচিত্র তৈরি করেছেন তাঁরই মেয়ে, জনপ্রিয় অভিনেত্রী মারিশকা হার্গেটি।

“মাই মম জেন” (My Mom Jayne) শিরোনামের এই ছবিতে উঠে এসেছে মারিশকার মায়ের জীবনের নানা অজানা দিক, যা দর্শকদের চমকে দেবে। কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পর ছবিটি এবার ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবেও মুক্তি পেতে যাচ্ছে।

জেন ম্যানসফিল্ড ছিলেন এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ১৯৬৭ সালে এক মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় মাত্র ৩৪ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়।

সে সময় মারিশকার বয়স ছিল মাত্র তিন বছর। মায়ের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে। এরপর থেকে মাকে ভালোভাবে জানার সুযোগ হয়নি মারিশকার।

মায়ের স্মৃতিগুলো হৃদয়ে লালন করে বড় হয়েছেন তিনি।

তথ্যচিত্রে মারিশকা তাঁর মায়ের জীবনকে নতুন করে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন করেছেন কিছু গোপন কথা।

মারিশকা হার্গেটির আসল বাবার পরিচয় নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে একটি ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে জানা গেছে, তাঁর বাবা মিকি হার্গেটি নন, বরং নেলসন সারদেলি নামের একজন।

সারদেলি ছিলেন একজন লাস ভেগাসের শিল্পী। ২৫ বছর বয়সে মারিশকা প্রথম তাঁর বাবার সম্পর্কে জানতে পারেন।

শুধু তাই নয়, ছবিতে উঠে এসেছে সেই ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার স্মৃতিও।

মারিশকার ভাই-বোনেরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কীভাবে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছিলেন মারিশকা। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়ির সিটের নিচে আটকা পড়ে ছিলেন।

জেন ম্যানসফিল্ডের জীবন ছিল ঘটনাবহুল। মারিশকার ছোট ভাই টনি সিমবার জানিয়েছেন, তাঁদের মা সম্ভবত শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।

এমনকি, ম্যানসফিল্ডকে অনেক সময় বাড়ির ভেতরেও সানগ্লাস পরে থাকতে দেখা যেত, যা সম্ভবত তাঁর আঘাত লুকানোর চেষ্টা ছিল।

মারিশকা হার্গেটি জানান, মায়ের জীবন ছিল সংগ্রামের। তাঁর নিজেরও মনে হয়, মায়ের সঙ্গে তাঁর অনেক মিল রয়েছে।

কারণ, তিনিও খুব অল্প বয়সে বাবাকে হারিয়েছিলেন। এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে মারিশকা তাঁর মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, যা দর্শকদের আলোড়িত করবে।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *