মার্লি ম্যাটলিনের জীবনের অজানা গল্প! আসছে নতুন ডকুমেন্টারি…

মার্লি ম্যাটলিনের নতুন তথ্যচিত্র: শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জগৎ এবং হলিউডের লড়াই

হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মার্লি ম্যাটলিনের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত একটি নতুন তথ্যচিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। ‘মার্লি ম্যাটলিন: নট এলোন এনিমোর’ শিরোনামের এই ছবিতে নিজের জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন অস্কারজয়ী এই অভিনেত্রী।

ছবিটিতে মার্লি ম্যাটলিনের ব্যক্তিগত জীবন, অভিনয় জীবন এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের প্রতি হলিউডের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

ছবিটি পরিচালনা করেছেন শশানা স্টার্ন, যিনি নিজেও একজন শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তথ্যচিত্রটি নির্মাণের ক্ষেত্রে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জগৎকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শব্দ এবং দৃশ্যের মাধ্যমে আমেরিকান সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ (এএসএল)-এর ব্যবহার দর্শকদের কাছে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

এই ছবিতে মার্লি ম্যাটলিনের শৈশব, একটি স্বাভাবিক শ্রবণক্ষমতাসম্পন্ন পরিবারে বেড়ে ওঠা, ২১ বছর বয়সে ‘চিলড্রেন অফ আ লেসার গড’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য অস্কার জয়, সহ-অভিনেতা উইলিয়াম হার্টের সঙ্গে তার সম্পর্ক, এবং মাদকাসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।

মার্লি ম্যাটলিন জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করার মূল উদ্দেশ্য হলো, শ্রবণ প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি হলিউডের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটানো। তিনি মনে করেন, এখনো অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, যা জয় করা প্রয়োজন।

অস্কার জয়ের পরও তিনি কিভাবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন এবং এখনো করে যাচ্ছেন, সেই বিষয়গুলোও ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যচিত্রটিতে ‘কোডা’ (CODA) ছবির সাফল্যের প্রসঙ্গও এসেছে।

‘কোডা’ ছিলো একটি বিশেষ ছবি, যেখানে শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরিবারের গল্প বলা হয়েছে। মার্লি ম্যাটলিন মনে করেন, এই ছবিটির সাফল্যের মাধ্যমে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে, কিন্তু সেই পরিবর্তনের ধারা এখনো পর্যন্ত যথেষ্ট শক্তিশালী হয়নি।

তিনি চান, এই ধরনের আলোচনা যেন শুধু একটি ঘটনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বরং তা দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং সকলে এর সুফল পায়।

মার্লি ম্যাটলিন এই ছবিতে চলচ্চিত্র সমালোচক রেক্স রিডের একটি মন্তব্যের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি আশা করেন, রেক্স রিড ছবিটি দেখে তার পুরনো মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত হবেন।

নতুন এই তথ্যচিত্রটি মার্লি ম্যাটলিনের নিজের গল্প বলার একটি মাধ্যম।

এই ছবিতে তিনি শুধু নিজের জীবনের গল্প বলেননি, বরং শ্রবণ প্রতিবন্ধী সম্প্রদায়ের মানুষের হয়ে তাদের কথা তুলে ধরেছেন, যা দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *