মারথা স্টুয়ার্টের প্রিয় দেশ! আর সেখানে তিনি কেন দ্বিতীয়বার যান না?

মারথা স্টুয়ার্ট, যিনি তাঁর রুচিশীল জীবনযাত্রার জন্য সুপরিচিত, সম্প্রতি তাঁর পছন্দের ভ্রমণ গন্তব্য সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন।

তাঁর মতে, খাবারের দিক থেকে জাপান তাঁর “প্রিয়তম” জায়গা। তবে, একই জায়গায় বারবার যাওয়ার বদলে তিনি নতুন জায়গা ঘুরে দেখতে বেশি পছন্দ করেন।

সম্প্রতি Resy’র Dream Team Dinners-এর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মারথা জানান, জাপানের খাবার তাঁর এতই পছন্দ যে তিনি প্রতিদিন ফিশ টারটার খেতে পারেন।

তিনি বলেন, “আমি হয়তো রোজই ফিশ টারটার খেতে পারি। মাছের প্রকারভেদ হয়তো বদলাতাম, যেমন ফ্লুক, ফ্লাউন্ডার, টুনা বা হ্যাক—সব তাজা মাছ দিয়ে তৈরি।

তবে, মারথা এও জানিয়েছেন যে তিনি সম্ভবত আর কখনো জাপানে ফিরবেন না।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমি এখন আর একই জায়গায় ভ্রমণ করি না। এখনো অনেক জায়গা দেখা বাকি, তাই পুরনো জায়গায় ফিরে যেতে ভালো লাগে না।

যদিও তিনি খুব শীঘ্রই সিডনি ভ্রমণে যাচ্ছেন।

সেখানে অবশ্য আগে গিয়েছেন তিনি, তবে এবার কিছু নতুন জায়গা ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা আছে তাঁর।

ভ্রমণ বিষয়ক তাঁর কিছু ব্যক্তিগত পছন্দের কথাও জানিয়েছেন মারথা।

একবার Travel + Leisure-এর সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বিমানবন্দরের অভ্যর্থনাকারী (airport greeter) তাঁর ভ্রমণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।

তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই বিমানবন্দরে একজন অভ্যর্থনাকারী রাখতে পছন্দ করি।

বাণিজ্যিক ভ্রমণে এটি আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিলাসিতা, কারণ অভ্যর্থনাকারী অনেক কিছু সহজ করে দেয়।

এছাড়া, ভ্রমণের সময় তিনি সঙ্গে তাস খেলতে পছন্দ করেন।

শুধু তাই নয়, বিমানে খাওয়ার জন্য মারথা সঙ্গে করে নিয়ে যান বিশেষ কিছু খাবার।

তিনি বলেন, “আমি সবসময় নিজের হাতে তৈরি দই নিয়ে যাই।

যদি লম্বা ভ্রমণ হয়, তাহলে সঙ্গে ক্যাভিয়ার এবং কিছু ব্রিওশ (brioche) নিই।

মারথা স্টুয়ার্টের এই ভ্রমণ বিষয়ক পছন্দের কথাগুলো তাঁর রুচিবোধ এবং জীবনযাত্রার একটি সুন্দর চিত্র তুলে ধরে।

যারা ভ্রমণ ভালোবাসেন এবং নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য এই ধরনের সেলিব্রিটিদের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা খুবই আকর্ষণীয় হতে পারে।

তথ্য সূত্র: Travel and Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *