মারথা স্টুয়ার্ট: আমেরিকার এই প্রভাবশালী নারীর উদ্যোগে উদ্ধার পাওয়া তিন এতিম কাঠবিড়ালীর গল্প
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপরিচিত ব্যবসায়ী এবং জীবনশৈলী বিশেষজ্ঞ মারথা স্টুয়ার্ট-এর খামারে ঘটে যাওয়া একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গত মার্চ মাসে, তাঁর খামারে একটি গাছ উপড়ে পড়ার পর, তিনি খুঁজে পান তিনটি এতিম কাঠবিড়ালী শাবককে।
মা-হারা এই শিশুদের উদ্ধারের জন্য তিনি যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তা অনেকের কাছেই দৃষ্টান্তস্বরূপ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন স্টুয়ার্টের তত্ত্বাবধানে থাকা কর্মীরা গাছটি সরানোর কাজ করছিলেন। গাছ কাটার সময় তারা তিনটি খুবই ছোট, লোমবিহীন কাঠবিড়ালী শাবকের সন্ধান পান।
তাৎক্ষণিকভাবে তারা বুঝতে পারেন যে বাচ্চাগুলো তাদের মায়ের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শাবকগুলোর survival নিশ্চিত করতে মারথা স্টুয়ার্ট দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
তিনি নিশ্চিত করেন যে আশেপাশে কাঠবিড়ালীর মা নেই। এরপর তিনি তাদের উদ্ধার করে একজন অভিজ্ঞ বন্যপ্রাণী পুনর্বাসনকারীর কাছে পাঠান।
বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রে, শাবকগুলোর যথাযথ যত্ন নেওয়া হয়। সেখানে তারা নিয়মিত খাবার পেত এবং তাদের স্বাস্থ্য নিরীক্ষণ করা হতো।
ধীরে ধীরে তাদের শরীরে লোম গজায়, চোখ ফোটে এবং তারা খেলাধুলা করতে শুরু করে। মারথা স্টুয়ার্ট তার ব্লগে ছবি এবং বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে এই প্রক্রিয়াটি সকলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, শাবকগুলোর নাম রাখা হয়েছে – ম্যাপেল, ম্যাগনোলিয়া এবং ওক-লে।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, কাঠবিড়ালী তিনটি-কে তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে, তারা এখনো মারথা স্টুয়ার্টের খামারের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে এবং মাঝে মাঝে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে।
মারথা স্টুয়ার্ট জানান, শাবকগুলো এখনো বন্ধুত্বপূর্ণ এবং খেলাধুলা করে বেড়ায়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে যে, বন্যপ্রাণী এবং প্রকৃতির প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও যত্ন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মারথা স্টুয়ার্টের এই উদ্যোগ অনেকের কাছেই একটি অনুপ্রেরণা, যা পশুদের প্রতি সহানুভূতি এবং তাদের জীবন বাঁচানোর গুরুত্বের বার্তা দেয়।
তথ্য সূত্র: পিপল