ফ্লোরিডা প্যান্থার্স-এর হয়ে মাঠে ফিরেই ঝলক দেখালেন ম্যাথিউ টিকাচক। ট্যাম্পা বে-তে অনুষ্ঠিত ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্রথম রাউন্ডের প্লে-অফে তিনি জোড়া গোল করে দলের ৬-২ গোলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
দীর্ঘদিন ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরে এসেই এমন পারফর্মেন্সে উচ্ছ্বসিত দলের সমর্থকরা।
আহত হওয়ার কারণে টিকাচক গত দুই মাস ধরে দলের বাইরে ছিলেন। তবে মাঠে ফিরেই পুরনো ছন্দে ধরা দেন তিনি।
দ্বিতীয় কোয়ার্টারে তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করেন, যা দলের জয়ে বড় সহায়ক হয়। এই জয়ের ফলে প্লে-অফে ফ্লোরিডার সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল হয়েছে।
ম্যাচ শেষে টিকাচক বলেন, “দীর্ঘ দুই মাস পর আবার মাঠে ফিরতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।
দলের সতীর্থদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ ছিল। সবাই মিলে লকার রুমে সময় কাটানো, একসঙ্গে লড়াই করা—এগুলো আমি খুব মিস করেছি।”
তাঁর করা দুটি গোলই ছিল পাওয়ার প্লে-তে। প্রথম গোলটি ফ্লোরিডাকে ৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেয়।
এরপর মাত্র ১৪ সেকেন্ডের ব্যবধানে দ্বিতীয় গোলটি করে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করেন তিনি। টিকাচকের আক্রমণাত্মক খেলা প্রতিপক্ষকে বেশ চাপে ফেলে দেয়।
খেলা চলাকালীন সময়ে ইএসপিএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফ্লোরিডার কোচ পল মরিস টিকাচকের পারফর্মেন্সের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, “ম্যাথিউ আমাদের দলের জন্য একজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাঁর অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে, যা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।”
ইনজুরির কারণে এই মৌসুমে টিকাচকের ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। এমনকি খেলার কয়েক ঘণ্টা আগেও তাঁর খেলার সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ ছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মাঠে নামেন এবং দলের জয়ে অবদান রাখেন। অনুশীলনে ফেরার পর তিনি জানান, মাঠে নামার জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন।
টিকাচক গত ফেব্রুয়ারিতে একটি টুর্নামেন্টে ইনজুরিতে পড়েছিলেন। নিয়মিত সিজনে তিনি ২৬টি ম্যাচ খেলতে পারেননি।
কিন্তু এরপরেও ২২টি গোল ও ৩৫টি অ্যাসিস্ট সহ মোট ৫৭ পয়েন্ট অর্জন করেন, যা দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
প্লে-অফে তাঁর এই দুর্দান্ত ফর্ম ফ্লোরিডার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে, টিকাচক প্লে-অফে ৪৪টি ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট অর্জন করেছিলেন।
ট্যাম্পা বে-র কোচ জন কুপার টিকাচকের খেলার প্রশংসা করে বলেন, “পাওয়ার প্লে-তে ম্যাথিউ খুবই ভালো খেলে।
সে জানে কিভাবে খেলতে হয়।”
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস