মে দিবস: শ্রমিক অধিকার ও বিশ্ব শান্তির দাবিতে বিশ্বজুড়ে সমাবেশ।
আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস, তথা মে দিবস। সারা বিশ্বজুড়ে শ্রমিক অধিকার ও ন্যায্য মজুরির দাবিতে বিভিন্ন স্থানে পালিত হচ্ছে দিনটি। শ্রমিক আন্দোলনের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মরণ করে বিভিন্ন দেশে শ্রমিক সংগঠনগুলো মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে।
এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন বিভিন্ন দেশের মানুষ।
জাপানের রাজধানী টোকিওতে traditional drum-এর আওয়াজে হাজার হাজার মানুষ এই দিবসে যোগ দেন। তারা শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি এবং উন্নত জীবনযাত্রার দাবি জানান। মিছিলকারীরা যুদ্ধ, বিশেষ করে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চেয়েছেন।
এছাড়াও, জাপানে কর্মরত শ্রমিকরা ক্রমবর্ধমান আমদানি করা কাঁচামালের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো জাকার্তার ন্যাশনাল মনুমেন্ট পার্কে শ্রমিকদের অভিবাদন জানান। তিনি তাঁর সরকার দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করবে বলে ঘোষণা করেন।
ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক ইউনিয়নগুলো বহিরাগত শ্রমিক নিয়োগের অবসান, বেতন বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ ও প্রবাসী শ্রমিকদের সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় দুই লাখ শ্রমিক মে দিবসের মিছিলে অংশ নিয়েছেন।
তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেয়ে প্রায় আড়াই হাজার শ্রমিক বিভিন্ন দাবিতে একত্রিত হন। তারা মাছ ধরা থেকে শুরু করে টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে কর্মরত ছিলেন। এখানেও শ্রমিকদের ভালো কর্মপরিবেশ ও অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হতে দেখা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে মে দিবসের একটি বড় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখানে শ্রমিক সংগঠনগুলো বিলিওনেয়ার ও রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায়।
তারা অভিবাসী শ্রমিকদের উপর যেকোনো ধরনের আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
মে দিবসের এই দিনে শ্রমিকদের অধিকার, ন্যায্য মজুরি, এবং বিশ্ব শান্তির বার্তা বিশ্বজুড়ে আবারও প্রতিধ্বনিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের দাবি আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।