২০১১-এর ভূত তাড়ানো: ম্যাকিলরয়ের সাহসী প্রত্যাবর্তন!

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, অবশেষে মাস্টার্স খেতাব জয় করলেন ররি ম্যাকিলরয়।

গোটা বিশ্ব যখন ররি ম্যাকিলরয়ের বহু প্রতীক্ষিত সাফল্যের অপেক্ষায়, তখন অবশেষে যেন সেই মাহেন্দ্রক্ষণটি এলো। দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মাস্টার্স টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার স্বপ্ন পূরণ হলো তাঁর।

গল্ফ বিশ্বে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এই তারকা খেলোয়াড় বহুবার এই টুর্নামেন্টের কাছাকাছি এসেও ব্যর্থ হয়েছেন। ২০১৪ সালে তিনি শেষবার এই টুর্নামেন্ট জিতেছিলেন, এরপর যেন ট্রফির দেখা পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

২০১১ সালের মাস্টার্স টুর্নামেন্টে তাঁর পরাজয় আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে। সেবার জয়ের খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হোঁচট খেয়েছিলেন তিনি।

রবিবার ফাইনাল রাউন্ডের শুরুতে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে অনেকেই হয়তো হতাশ হয়েছিলেন। কারণ প্রথম কয়েক হোলে প্রত্যাশিত খেলা উপহার দিতে পারেননি ম্যাকিলরয়।

তবে, পঞ্চম হোলের একটি অপ্রত্যাশিত শট যেন সবকিছু বদলে দেয়। তাঁর ড্রাইভটি প্রথমে ডান দিকে চলে গেলেও, ভাগ্যক্রমে তা একটি গাছের ফাঁক দিয়ে গিয়ে সঠিক স্থানে পরে।

এরপর সেখান থেকে তিনি অসাধারণ একটি শট খেলে বাজিমাত করেন।

ম্যাকিলরয়ের খেলা সবসময়ই অনিশ্চয়তায় ভরা থাকে। স্কট স্কিফলারের মতো খেলোয়াড়রা যেখানে সহজে খেলা শেষ করতে পারদর্শী, সেখানে ম্যাকিলরয় যেন প্রতিটা পদক্ষেপেই নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন।

তাঁর খেলার ধরন এতটাই বৈচিত্র্যপূর্ণ যে, প্রতিবারই নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন তিনি। মাঝেমধ্যে মনে হয়, যেন কঠিন পথ বেছে নিতেই তিনি বেশি পছন্দ করেন।

মাস্টার্স টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এমন উদাহরণ খুব কমই দেখা যায়, যেখানে কোনো খেলোয়াড় এত বেশি ‘ডাবল বোগি’ করার পরেও শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ম্যাকিলরয় একাই সেই কাজটি করে দেখিয়েছেন।

১৫ নম্বর হোলে তাঁর সাহসী শটটি যেন জয়ের পথ আরও সুগম করে দেয়। প্রায় ২০০ গজ দূর থেকে তিনি বলটিকে একেবারে কাঙ্ক্ষিত স্থানে নিয়ে যান।

সব প্রতিকূলতা জয় করে অবশেষে যখন তিনি জয় নিশ্চিত করেন, তখন তাঁর চোখেমুখে ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। দীর্ঘ ১৪ বছরের সাধনা যেন সার্থক হয়েছে।

এই জয় তাঁর খেলোয়াড়ি জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন, যা কোটি কোটি গল্ফ প্রেমীর হৃদয়ে গেঁথে থাকবে।

তথ্য সূত্র: The Guardian

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *